মিথ্যা ঘোষণায় সিঙ্গাপুর থেকে এলো চকলেট, তুর্কী থেকে মিল্ক পাউডার

ঘোষণায় ছিল সুইট কর্ণ। কিন্তু ওই চালানে নিয়ে আসা হয়েছে চকলেট ও মিল্ক পাউডার। এ ধরণের দুই কন্টেইনার পণ্য জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের এআইআর শাখা। সামিট ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল এসব পণ্য নিয়ে আসে।

দুই চালানে ১৪০ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করেছে এ আমদানিকারক কোম্পানি। চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়ে আসেন চট্টগ্রামের বাংলা বাজারের শিপিং এজেন্ট লাইন্স শিপিং লজিস্টিক লি.। দুই চালানের আইজিএম দাখিল করা হয় ৪ জানুয়ারি। কিন্তু কোন বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেন নি কোনও সিএন্ডএফ। কারণ ওই আমদানিকারক অপেক্ষায় ছিল সুযোগ বুঝে জালিয়াতির মাধ্যমে চালান ছাড় নিয়ে যাবেন। এসব তথ্য চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম কাম্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার নুর এ হাসনা সানজিদা অনসূয়া।

দুই চালানের মধ্যে একটিতে ঘোষণা ছিল সুইচ কর্ণ এন্ড অলিভ এবং অপর চালানের ঘোষণা ছিল সুইট কর্ণ। চালানটি সিঙ্গাপুর থেকে আসার ঘোষণা থাকলেও চকলেট এসেছে সিঙ্গাপুর থেকে আর লেকটোজেন বেবী মিল্ক পাউডার এসেছে তুর্কী থেকে। এক চালানে ২ হাজার ২৫১ কার্টনের মধ্যে ১৩ হাজার ২৫৮ কেজি চকলেট ও অপর চালানে ২ হাজার কার্টনের মধ্যে ২১ হাজার ৬০০ কেজি বেবী মিল্ক পাউডার রয়েছে। এতে দুই চালানে মোট শুল্ক ফাঁকির পরিমাণ ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

কাস্টমসের সূত্র মতে, ঢাকার মতিঝিলের সামিট ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল এর আগেও শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করে ধরা পড়েন কাস্টমসে কর্মকর্তাদের হাতে। ফলে বিশেষ নজরদারিতে ছিল ওই কোম্পানি। এবারও পণ্য বন্দরে আসার সাথে সাথে চালানটি লক করেন এআইআর শাখা থেকে।
শতভাগ কায়িক পরীক্ষায় এমন জালিয়াতির ধরা পরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের হাতে। বিষয়টি আরও তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন এন্ড রিচার্স (এআইআর) শাখার কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার নুর এ হাসনা সানজিদা অনসূয়া।

তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্য থাকায় চালানটি লক করা হয়েছিল। শতভাগ কায়িক পরীক্ষায় তা স্পষ্ট হয়েছে। অনেক বড় জালিয়াতি করেছে আমদানিকারক। এর জন্য জরিমানা দিয়ে ছাড় পেতে পারে এসব চালান। তবে অতিরিক্ত পাওয়া পণ্যের শুল্কও দিতে হবে আমনানিকারক প্রতিষ্ঠানকে। মিথ্যা ঘোষণা ও শুল্ক ফাঁকির দায়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) অনুযায়ী মামলা দায়ের হবে বলেও জানান তিনি ।

এএস/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!