মায়ের প্রেমিকের ‘খুনি’ ছেলেকে মাসহ ধরলো চট্টগ্রামের পুলিশ

কুমিল্লায় খুন করে লাশ ফেলে যায় পটিয়ার জঙ্গলে

মায়ের পরকীয়া প্রেমিককে খুনের দায়ে অভিযুক্ত ছেলেকে ঘটনার ১০ মাস পর গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রামের পুলিশ।

শনিবার (৮ আগস্ট) মধ্যরাতে আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের একটি বাসা থেকে আশরাফুল হক সাব্বির (২৩) ও তার মা শিউলী বেগমকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রামের একটি দল।

সাব্বিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ২০২০ সালের ১৬ অক্টোবর তিনি তার মায়ের পরকীয়া প্রেমিক নবী হোসেনকে (২৮) গাড়ির ভেতর শ্বাসরোধ করে খুন করেন।

নিহত নবী হোসেনের বাড়ি ভৈরব উপজেলার আগানগর গ্রামে এবং তার বাবার নাম মো. ইসমাইল।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চট্টগ্রাম পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মো. মনির হোসেন জানান, বিশ্বস্ত গুপ্তচর ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শনিবার (৮ আগস্ট) রাতে আশুগঞ্জের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মা ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই দুজনেই পলাতক ছিলেন।

স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, শিউলি বেগমের স্বামী আনোয়ার সৌদি আরব প্রবাসী। তাদের বাড়ি ভৈরবের ছাগাইয়া গ্রামে। তিনি একসময় আনোয়ারের মামাত ভাই নবী হোসেনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এরই মধ্যে ওই নারী তার স্বামীকে তালাক দিয়ে নবী হোসেনকে বিয়ে করেন। মায়ের অসম প্রেম ও দ্বিতীয় বিয়ের ঘটনাটি সহ্য করতে পারেননি তার ছেলে সাব্বির।

তাই প্রতিশোধ নিতে সাব্বির কৌশলে মায়ের প্রেমিক নবী হোসেনকে দাওয়াতের কথা বলে একটি প্রাইভেটকারে তুলে কুমিল্লায় নিয়ে যান। সেখানে গাড়ির ভেতরেই তাকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এ সময় গাড়িতে সাব্বিরের দুই বন্ধু তুষার ও আশিক সহযোগিতা করেন। তারপর তার লাশ চট্টগ্রামের পটিয়ার একটি জঙ্গলে ফেলে তারা ভৈরব চলে আসেন।

জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর দিন পটিয়া থানা পুলিশ জঙ্গল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পকেটে থাকা আইডি কার্ড পেয়ে নিহতের পরিবারকে ভৈরব থানার মাধ্যমে খবর দেয়। খবর পেয়ে তার ভাই কবির হোসেন চট্টগ্রাম গিয়ে নবী হোসেনের লাশ শনাক্ত করেন। এরপর কবির হোসেন বাদী হয়ে পটিয়া থানায় ৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করে। মামলাটি তদন্ত করতে চট্টগ্রামের পিবিআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

পিবিআই মামলাটির তদন্তভার নেওয়ার পর গোপন তথ্য পেয়ে প্রাইভেটকারের চালক আশিক ও হেলপার সুমনকে গত বছর ২৩ অক্টোবর ভৈরবের দুটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তারা দুজন চট্টগ্রাম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যার ঘটনাটি স্বীকার করেন।

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm