মায়ের খোঁজে মায়া হরিণ লোকালয়ে, ঠাঁই হলো সাফারি পার্কে

মায়ের সাথে ঘুরতে বেরিয়েছিল হরিণের বাচ্চাটি। ঘুরতে ঘুরতে একসময় মাকে হারিয়ে ফেলে। মাকে খুঁজতে খুঁজতে মায়া হরিণের বাচ্চাটি চলে আসে লোকালয়ে। লোকজনে নজরে এলে বাচ্চাটি আটক করে খবর দেওয়া হয় বনবিভাগে। অবশেষে মা হারা এই মায়া হারিণের বাচ্চাটির ঠাঁই হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে।

জানা গেছে, পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা উপজেলার আমতলী পাড়া থেকে ওই বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে ডলুছড়ি বিটের কর্মকর্তারা। পরে বাচ্চাটিকে কক্সবাজারের চকরিয়া ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে বাচ্চাটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।

ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ইনচার্জ ফরেষ্টার মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, উদ্ধার হওয়া হরিণের বাচ্চাটি বিলুপ্ত প্রজাতির মায়া হরিণ। এ ধরনের হরিণ সাধারণত পাহাড়ি এলাকায় দেখা যায়। মাঝে মধ্যে পথ ভুলে গভীর জঙ্গল থেকে লোকালয়ে চলে আসে। বাচ্চাটির বয়স আনুমানিক ১৫দিন। মাকে হারিয়ে হরিণের বাচ্চাটি একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই বাচ্চাটিকে পার্কের ভেটেরিনারি হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, একজন সদ্য শিশু সন্তানের মা না থাকলে যে রকম অবস্থা, এটাও সেরকম। বাচ্চাটি এখনও যেহেতু দুগ্ধ শিশুবাচ্চা, তাই মায়ের দুধের বিকল্প হিসেবে ওই বাচ্চাকে লেকটোজেন-১ খাওয়ানো হচ্ছে। প্রতি ঘন্টা পর পর তাকে লেকটোজেন-১ দেওয়া হচ্ছে। রাতে দুধ খাওয়ানোর জন্য একজন স্টাফকে নাইট শিফটে ডিউটির জন্য নিয়োজিত করা হয়েছে। যেহেতু বাচ্চাটির মা নেই তাই আরও বেশ কয়েকমাস তাকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। আমরা চেষ্টা করছি বাচ্চাটিকে মায়ের অভাব পুরণ করতে।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!