মারা গেলেন যুবদলের দীপ্তির পিতা, ছিলেন করোনা আক্রান্ত

চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তির পিতা হাবিব উল্লাহ আর নেই। সোমবার (১ জুন) সকাল পৌনে ৮টায় নগরীর আকবরশাহ হাউজিং এলাকায় নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে…রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

বেশ কয়েক বছর যাবত অসুস্থ হাবিব উল্লাহ ভারত থেকেও চিকিৎসা গ্রহণ করেছিলেন। রমজানের শেষ দিকে তাকে চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়েছিল।

পাশের সিটের রোগীর করোনা পজিটিভ আসায় তারও করোনা নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ২৩ মে তার রিপোর্ট পজিটিভ আসলে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিয়ে দেওয়া হয়। চট্টগ্রামের করোনা চিকিৎসার কোন হাসপাতালের আইসিইউ খালি না থাকায় বাসায় তার চিকিৎসা চলছিল।

এরই মধ্যে তাঁর সংস্পর্শে এসে মোশাররফ হোসেন দীপ্তিও করোনা আক্রান্ত হন। তিনি আইসোলেশনে ছিলেন করোনা ফিল্ড হাসপাতালে।

সোমবার তার দ্বিতীয় টেস্টের নমুনা নেওয়ার কথা ছিল। পিতার মৃত্যুতে তাঁর লাশ নিয়ে দীপ্তি নোয়াখালীর গ্রামে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন। নোয়াখালী রওয়ানা দেওয়ার পূর্বে আকবরশাহ এলাকায় প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নোয়াখালীতে দ্বিতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হবে।

যুবদল সভাপতির পিতার মৃত্যুতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মো. নাছির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবর রহমান শামীম, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুল আলম নিরব এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, নগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ শোক জানিয়ে নিহতের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন।

অপর এক বিবৃতিতে চট্টগ্রাম নগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানও মরহুমের শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

এফএম/এসএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!