মামলার ভয় দেখিয়ে বায়েজিদের এসআইয়ের কামাই ৬৩ হাজার!

আদালতে মামলা

মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে এক নারীর কাছ থেকে ৬৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নিলেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদের আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন আনু বেগম নামের ওই নারী। তিনি বায়েজিদের আরেফিন নগর এলাকার আবদুল জলিলের স্ত্রী।

আদালত শুনানি শেষে মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় আরও দুজনকে আসামি করা হয়। তারা হলেন পুলিশের সোর্স লিটন ও মানিক।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয় দাশ।

আদালতে দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নোমান খান তার দুই সোর্স লিটন ও মানিকের দেওয়া তথ্যমতে জলিলকে দুই দফায় গ্রেপ্তার করেন। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকার পরেও তাকে সিএমপির মেট্রো অধ্যাদেশ ৮৮ ধারায় তিনবার কোর্টে চালান দেন। এ সময় অন্য মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে বাদির কাছ থেকে মোট ৬৩ হাজার টাকা আদায় করেন।

সর্বশেষ ৪ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে একই কায়দায় আনু বেগমের স্বামী জলিলকে গ্রেপ্তার করেন এসআই নোমান। এ সময় তিনি থানায় গিয়ে নোমানের সাথে দেখা করলে নোমান তার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা দাবি করেন। দাবি করা টাকা না দিলে তার স্বামীকে ইয়াবা দিয়ে কোর্টে চালান দেওয়ারও হুমকি দেন। লিটন ও মানিক টাকার বিষয়ে আনু বেগমের সাথে কথা বলেন। দর কষাকষির পর (ঘটনার দিন রাত ৩টায়) আনু বেগম এসআই নোমানকে নগদ ৩০ হাজার টাকা দেন। এরপর নোমান গ্রেপ্তার আবদুল জলিলকে ৫ নভেম্বর (৩৯৮৫/১৯ ও ৫৬০/১৯) নন জিআর মামলা মূলে ৮৮ ধারায় কোর্টে পাঠান।

৬ নভেম্বর জলিল জরিমানা দিয়ে জামিনে মুক্ত হন। এরপর এসআই নোমানসহ মামলার অন্য আসামিরা আবার ৬ নভেম্বর বিকালে বাদির বাসায় গিয়ে তাকে ভয় দেখান। ওই সময় তার কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তাকে এবং তার স্বামীকে আবার অন্য কোন মামলায় চালান দেওয়ার হুমকি দেন। এ সময় বাদি প্রতিবাদ করে তাদেরকে আর কত হয়রানি করবেন— এমন প্রশ্ন করলে এসআই নোমান বাদিকে চড়থাপ্পড় মারেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

এফএম/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!