মাদক ব্যবসায় মায়ের ‘না’, প্রতিশোধ নিতে সন্তানকে অপহরণ

চট্টগ্রামে অপহরণের শিকার হয়েছে ৩ বছরের শিশু। পরে নারায়ণগঞ্জ থেকে তাকে উদ্ধার করেছে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। এ সময় অপহরণের ঘটনায় অভিযুক্তকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানাধীন মহজমপুর লাদুরচর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। একই এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় অপহৃত শিশুকেও।

এর আগে শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) চান্দগাঁও থানা এলাকার খাজা রোড এলাকার বাসা থেকে ওই শিশুকে অপহরণ করা হয়।

জানা গেছে, অপহরণকারী মো. আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কারাগারে পরিচয় হয় আয়েশার বাবা মো. ফারুকের। আনোয়ার কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে চান্দগাঁওয়ের খাজা রোড এলাকায় ফারুকের বাসায় যান। সেখানে গিয়ে ফারুকের স্ত্রী খোরশীদা আক্তারকে মাদক ব্যবসা করার প্রস্তাব দেন আনোয়ার। প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় কৌশলে খোরশীদার ছোট মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকাকে নিয়ে পালিয়ে যান আনোয়ার।

অনেক খোঁজাখুঁজির পর আয়েশাকে না পেয়ে শুক্রবার রাতে খোরশীদা বাদি হয়ে চান্দগাঁও থানায় মামলা করেন।

এরপর শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানাধীন মহজমপুর লাদুরচর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ।

Yakub Group

খোরশীদা আক্তার জানান, ‘আনোয়ার আমার বাসায় এসে মাদক ব্যবসা করার প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আনোয়ার বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলতে থাকে। পরবর্তীতে আমি আমার মা ও দুই মেয়েকে বাসায় রেখে বাজারে যায়। ওই সুযোগে আনোয়ার চকলেট কিনে দিবে বলে আমার ছোট মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা নিয়ে পালিয়ে যায়।’

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আনোয়ার ও ফারুক একসঙ্গে জেলে ছিলেন। আনোয়ার সম্প্রতি ছাড়া পেয়ে ফারুকের বাসায় গিয়ে তার স্ত্রী খোরশীদাকে মাদক ব্যবসার প্রস্তাব দেন। মাদক ব্যবসায় সায় না দেওয়ায় তিন বছরের শিশু আয়েশাকে নিয়ে পালিয়ে যান আনোয়ার।’

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আমাদের টিম বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আনোয়ারকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে। ওই শিশুকে নিয়ে আনোয়ার নারায়ণগঞ্জ অবস্থান করছিল।’

আরএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!