‘মাদকের অভিশাপমুক্ত কক্সবাজার গড়তেই পুলিশের গণবদলি’

পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, কক্সবাজারকে মাদকের অভিশাপ মুক্ত করা হবে। যে উদ্দেশ্যে প্রশাসনের সর্বস্তরে বদলি করা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করা হবে। একটি জেলায় এমন গণবদলি একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। এখন কনস্টেবল থেকে এসপি সবাই নতুন। নতুনভাবে যারা যোগদান করেছেন তাদের মনোবল বৃদ্ধি করা এবং পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্বপালন করতে উৎসাহ দিতে এসেছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশের যে ভূমিকা তা পেশাদারিত্বের সঙ্গে পালন করবে নতুন টিম। আমরা চাই সবার সহযোগিতায় অতীতের শিক্ষায় মাদকমুক্ত হবে কক্সবাজার।

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

মাদক কারবারিদের নতুন তালিকা করা হবে বলে জানিয়ে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, নতুন তালিকা করে ইতোপূর্বে তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল, কী মামলা আছে, কার কী প্রোফাইল সব কিছু যাচাই করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাদকদ্রব্য নির্মূলে টাস্কফোর্স সদস্যদের সাথে মিটিং করা হবে। নতুন পুলিশ সুপার সবকিছু বিবেচনা করে কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন।

ডিসেম্বরের মধ্যে মাদক নির্মূলের ঘোষণা বাস্তবায়ন হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি বলেন, জেলা পুলিশ কি বলেছে এই মুহুর্তে আমার জানা নেই। নতুন পুলিশ সুপার সার্বিক পরিস্থিতি বিচার-বিশ্লেষণ করে লক্ষ্য ঠিক করবেন। আমার দায়িত্বপালন সময়ে কোন কর্মকর্তা ঘুরে ফিরে এক জায়গায় থাকার ট্রেডিশন থাকবে না। তবে চাকরি করতে এসে এক থানার পাশের থানায় চাকরি করতে পারবে না এমন বিধি-নিষেধ নেই। এটি আইনেরও লঙ্ঘন হওয়ার মতো বিষয় নয়। তবুও বিষয়টি আলোচনায় এসেছে তাই ঘুরে ফিরে দায়িত্বপালন করতে দেওয়া হবে না।

ডিআইজি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অনেকগুলো কারণে কিছুটা শিথিল হয়েছিল পুলিশের কার্যক্রম। সেই শিথিলতা দ্রুত কাটিয়ে উঠবে জেলা পুলিশের নতুন টিম।

কক্সবাজারের নবাগত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান বলেন, নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের জায়গা থানা। এখানে কোন দালাল-টাউটকে ঘেঁষতে দেওয়া হবে না। দালালরা বিন্দু পরিমাণ ছাড় পাবে না।

এসময় সময় কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনিরুল গিয়াসসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!