বান্দরবানে গিয়ে সঙ্গীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি দুর্ব্যবহার করেছেন স্থানীয় লোকজনের সঙ্গেও— এমন অভিযোগ মিলেছে।
২০১৯ সালে কলকাতার বহুল আলোচিত গানের রিয়েলিটি শো সা-রে-গা-মা-পাতে অংশ নিয়ে তুমুল আলোড়ন তৈরি করেন নোবেল। পশ্চিমবঙ্গের অনেক প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে তিনি ফাইনালেও ওঠেন। কিন্তু বছরখানেক ধরে গোপালগঞ্জের ছেলে নোবেলের একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে তাকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় ওঠে। একপর্যায়ে বাংলা ব্যান্ডের কিংবদন্তি জেমসকে নিয়েও আপত্তিকর পোস্ট দিয়ে তুমুল সমালোচিত হন নোবেল।

বুধবার (২৫ আগস্ট) বান্দরবানে ভ্রমণে যান নোবেল। জানা গেছে, বান্দরবানে যাওয়ার সময়ই রুমা বাসস্ট্যান্ডে নোবেল অসংলগ্ন আচরণ শুরু করেন। এটা দেখে একটি বাস তাকে পাহাড়ি রাস্তায় নিয়ে যেতে অসম্মতি জানায় এবং তাকে না নিয়েই রুমা বাসস্ট্যান্ড থেকে ওই বাসটি ছেড়ে যায়। পরে নোবেল বান্দরবান সদরে পৌঁছান।
জানা গেছে, বুধবার (২৫ আগস্ট) রাতে বান্দরবানে পৌঁছার পর এক নারীসহ সঙ্গীতশিল্পী নোবেল বান্দরবান সদরের থানচি স্টেশনের পাশে গার্ডেন সিটি নামের একটি আবাসিক হোটেল উঠেন। তার সঙ্গে ‘কাপল’ পরিচয়ে ওই মেয়ে দুই দিনই ছিলেন হোটেলে। অন্য এক কক্ষে বান্দরবানের দুজন যুবক ছিলেন।
পরদিন বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সকালে হোটেল থেকে বের হয়ে তিনি বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ান। এলাকাবাসী জানান, এ সময় তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করেন। এমনকি একপর্যায়ে ঘুমিয়ে পড়েন একটি রিকশায় আসনে বসে। পরে সন্ধ্যায় গার্ডেন সিটি হোটেলে ফিরে আসেন তিনি। সেখানে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মদ পান করে হোটেলের অভ্যর্থনা কক্ষে এসে চিৎকার ও চেঁচামেচি শুরু করেন তিনি। এ সময় হোটেলের কয়েকজন কর্মী ছাড়াও এক বোর্ডারকে লাঞ্ছিত করেন।
এমন অবস্থায় হোটেল মালিক পুলিশকে খবর দেন। রাত তিনটার দিকে পুলিশ এসে তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে শেষপর্যন্ত ফিরে যায়। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ওই হোটেলের কক্ষ ছাড়তে বাধ্য হন নোবেল ও তার সঙ্গীরা।
হোটেল মালিক মো. জাফর বলেন, ‘উনি আমাদের হোটেলে পরশু দিন আসেন। ওনার সঙ্গে একজন মেয়ে ছিল। ওনারা কাপল পরিচয়ে একটি কাপল রুম নেন। প্রথম দিন কোনো সমস্যা হয়নি। সমস্যা করেছেন বৃহস্পতিবার রাতে। রাত ১১টা ২০ মিনিট থেকে শুরু করে তিনটা-সাড়ে তিনটা পর্যন্ত তিনি মাতলামি করেছেন। উনি অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছেন। আমাদের স্টাফদের মেরেছেন। আমরা তার মাতলামি সামলাতে না পেরে পুলিশকে জানাই।’