চট্টগ্রাম নগরীতে ঈদের শুভেচ্ছা ব্যানার লাগানোর সময় এক শ্রমিক লীগ নেতাকে পিটিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় মারাত্মক আহত ওই শ্রমিক নেতাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (১২ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট থানাধীন বাংলাবাজার পানওয়ালা পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। এতে মো. বাহাদুর নামে এক শ্রমিক লীগ নেতা মারাত্মক আহত হয়ে বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আহত বাহাদুরের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানাতে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ছবি সম্বলিত একটি ব্যানার লাগাতে যান শ্রমিক লীগ নেতা বাহাদুর।
তারা অভিযোগ করেন, সদরঘাট এলাকার ঘাটগুদাম নামের এলাকায় স্থানীয় শ্রমিক সংগঠনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মনিরের নির্দেশে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি সশস্ত্র দল বাহাদুরের ওপর হামলা চালায়। তাকে বন্দুক ও চাপাতি দিয়ে মেরে গুরুতর আহত করা হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মুমূর্ষু অবস্থায় বাহাদুরকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
আহত বাহাদুরের চাচাতো ভাই মো. মোস্তফা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘মনির স্থানীয় বিএনপির নেতা। মনির, ওয়াসিম, জুয়েলসহ ১৫-২০ জনের একটি দল অস্ত্র হাতে আমার ভাইয়ের ওপর হামলা চালায়।’
তারা দাবি করেছেন, দুই সপ্তাহ আগে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ করার প্রতিবাদ জানান বাহাদুর। এ নিয়ে ক্ষিপ্ত ছিল মনির ও তার সহযোগীরা। সেই ক্ষোভ থেকেই এই হামলা চলেছে বলে পরিবারের দাবি।
এদিকে এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানো হয়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক শীলব্রত বড়ুয়া জানান, সদরঘাট থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় বাহাদুরকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ২৭ নং ওয়ার্ডে ভর্তির নির্দেশ দেন।
তবে ঘটনাটি পুরোপুরি অস্বীকার করেন ঘাটগুদামের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মো. মনির। তিনি বলেন, ‘আমি সেখানে গিয়েছিলাম যাতে ব্যানার লাগানোকে কেন্দ্র করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। আমি সেখানে গেলে বাহাদুর উল্টো আমার সাথে থাকা কয়েকজনের ওপর চওড়া হয়। এতে আমার দুই কর্মী আহত হয়।’
বিএনপির রাজনীতির তার কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করে মনির বলেন, ‘এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমি কখনোই বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম না।’
বিএস/সিপি