আগামী ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এদিকে মাছের সরবরাহ কমলেও রমজান মাসে বেড়েছে মাছের চাহিদা। তাই বেড়েছে দামও। নগরের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার ফিশারিঘাটে একেবারে সব ধরনের সামুদ্রিক মাছের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে। প্রতি কেজি চিংড়ি মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কোরাল বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, রোজায় মাছের চাহিদা আর নিষেধাজ্ঞার জন্য সরবরাহও কমে যায়। এতে মাছের দাম বেড়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুমিনুল হক সরকারি প্রজ্ঞাপন সম্পর্কে বলেন, শুধু বঙ্গোপসাগর নয় কুতুবদিয়া ও মহেশখালীর মোহনাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের সুরক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, বঙ্গোপসাগরের মৎস্য সম্পদের সুরক্ষায় বাংলাদেশের মত ভারতে ৬০ দিন ও শ্রীলঙ্কায় ৮৫ দিন মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা করেছে সেই দেশের মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞা চলাকালে বঙ্গোপসাগরের কোনো স্থানেই যান্ত্রিক বা ছোট ডিঙি নৌকা দিয়ে মাছ ধরা যাবে না। মাছ আহরণে সরকারের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনটি জারির পর মৎস্যজীবীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ যান্ত্রিক মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল সরকার বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছি না। এই নিয়ে মৎস্য কর্মকর্তাদের সাথে দেন-দরবার করতেছি। দেখি কতটুকু কী করা যায়।