মহিলা মেম্বারকে পিটিয়ে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট পেকুয়ায়

কক্সবাজারের পেকুয়ায় জন্নাতুল ফেরদৌস জুলেখা (৩৫) নামের এক নারী সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যানকে পিটিয়ে জখম করে ৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ লক্ষাধিক টাকা লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাইম্যাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। জুলেখা বাইম্যাখালী গ্রামের সৌদি প্রবাসী নেজাম উদ্দিনের স্ত্রী।

আহত নারী জুলেখা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য ও সদর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান-৩।

স্থানীয়রা জানায়, ওইদিন দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ইউপি সদস্য জন্নাতুল ফেরদৌস জুলেখার বাড়িতে মুখোশপরা কয়েকজন দুর্বৃত্ত হানা দেয়। তারা সিঁধ কেটে বসতবাড়িতে প্রবেশ করে। ধারালো ছুরা দিয়ে তাকে জিম্মি করে গলা চেপে ধরে স্বাসরুদ্ধ করার চেষ্টা করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা আলমিরা থেকে ৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়’।

ইউপি সদস্য জন্নাতুল ফেরদৌস জুলেখা বেগম বলেন, ‘এর আগেও আমার বসতবাড়িতে তারা আক্রমণ চালায়। ১ সেপ্টেম্বর রাতে বসতবাড়িতে পলিথিন ভর্তি মল নিক্ষেপ করে। ঘরের বেড়া ভাংচুর করে। বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কর্তন করে সাবাড় করে। এ বিষয়ে পেকুয়া থানায় জিডি করেছি। ওইদিন রাতে দুবৃর্ত্তরা আমার বাড়িতে ঢুকে ৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও ১ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। আমার স্বামী বিদেশ থাকে। ছয় মাস বয়সের ছোট্ট এক শিশুকে নিয়ে আমি একাই বসতঘরে থাকি। এলাকার একজন বখাটে আমাকে প্রায় সময় উত্যক্ত করে থাকে। বাজে প্রস্তাব দেয়। বিষয়টি আমি সদরের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যদের আগে অবহিত করেছি। ইউএনও স্যার জিডির আবেদনে সুপারিশসহ থানায় পাঠায়।

পেকুয়া সদর ইউপির চেয়ারম্যান এম. বাহাদুর শাহ বলেন, ‘মল নিক্ষেপের ঘটনাটি ইউপি সদস্য আমাদেরকে জানিয়েছিল। আইনি পদক্ষেপ নিতে বলেছিলাম। এখন শুনেছি দুর্বৃত্তরা তাকে পিটিয়ে স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করেছে।’

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল আজম বলেন ‘বিষয়টি এখনও শুনিনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!