‘মহাবিপদ’ আরশি নগর ফিউচার পার্ক—উপরে শক্তিশালী বিদ্যুৎ লাইন, নিচে বিনোদন রাইড্স

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে আরশি নগর ফিউচার পার্ক নামে একটি বাণিজ্যিক বিনোদন কেন্দ্র। যার উপর দিয়ে চলে গেছে ২ লক্ষ ৩২ হাজার কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। নিয়মানুযায়ী জাতীয় গ্রিড বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে যেকোনো স্থাপনা গড়ে তোলা নিষেধ। তবে এসব বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করে জাতীয় গ্রিড বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের নিচে স্থাপন করা হয়েছে শিশুদের জন্য চমকপ্রদ বিভিন্ন রাইডার। ফলে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

এ বিষয়ে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড চট্টগ্রামের বারআউলিয়া কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রকৌশলী হাসমত উল্লাহ বলেন, এটি ২ লক্ষ ৩২ হাজার কেভি ক্ষমতা সম্পন্ন লাইন। এটির নিচে কোন স্থাপনা করার নিয়ম নেই। এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিপদজনক

পার্ক এলাকায় গিয়ে নাছরিন আক্তার নামে এক দর্শনার্থীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ এলাকায় আর কোন পার্ক না থাকায় বাচ্চাদের নিয়ে এখানে আসতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ লাইন আছে দেখেছি। কিন্তু এটার কারণে কি ক্ষতি হবে তাতো ভাই আমরা জানি না।

এদিকে, বেশ কয়েক দফা আরশি নগর ফিউচার পার্ক কর্তৃপক্ষকে মিরসরাই উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে মৌখিকভাবে সতর্ক করার পরও তারা একে একে কটেজ, রাইডার, বেবি শপ, চকলেট শপ, রেস্টুরেন্ট, ফুডজোন, কৃত্রিম লেক, কমিউনিটি সেন্টার, মুক্ত মঞ্চ তৈরি করে সেখানে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

এ প্রসঙ্গে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান বলেন, আরশি নগর ফিউচার পার্ক নামের প্রতিষ্ঠানটি পুরোটাই অবৈধভাবে স্থাপন করা হয়েছে। এ ধরণের জায়গায় পার্ক কোনভাবেই থাকতে পারে না। বিদ্যুৎ বিভাগ এর জন্য ব্যবস্থা নিতে পারে।

তবে আরশি নগর ফিউচার পার্কের কর্ণধার মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নাছির উদ্দিন দিদার এসব বিষয় মানতেই নারাজ। তার মতে তিনি ঠিক জায়গায় ঠিক সময়ে একটি যুগোপযোগী পার্ক স্থাপন করেছেন। এখানে কোনো অবৈধ বিষয়াদি নেই।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় গ্রিড বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন আমার পার্কের উপর দিয়ে যায়নি। এটি গেছে পশ্চিম পাশ দিয়ে।’

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!