‘মশা মারতে কামান’, চট্টগ্রামে ড্রোন দিয়ে মশা খুঁজছে সিটি করপোরেশন

প্রতিদিনের ভাড়া ৫ হাজার টাকা

প্রবাদে কামান দিয়ে মশা মারার কথা শুনে থাকলেও এবার মশা খুঁজতে অভিনব পদ্ধতি বের করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। মশার আবাস্থল খুঁজতে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোনের। চসিকের ভাষ্যমতে ড্রোন ক্যামরা দিয়ে মশার আবাস্থল চিহ্নিত করে সেখানে ঔষধ ছিঁটানো হবে।

রোববার (৯ জুলাই) চট্টগ্রাম নগরীর নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে মশার আবাসস্থল চিহ্নিতকরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

চসিকের পক্ষ থেক জানানো হয়, ড্রোনের মাধ্যমে নগরীর বহুতল ভবনগুলোর ছাদবাগানে কোন মশা বাসা বেঁধেছে কিনা তা জানা যাবে। যদি মশার বংশবৃদ্ধির মতো পরিবেশ থেকে থাকে তবে সেখানে ঔষধ ছিটানো হবে।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, মশা খুঁজতে চসিক ‘ডিজেআই ম্যাভিক এয়ার এস২’ মডেলের ড্রোন ব্যবহার করছে। এটার ওজন ৫৯৫ গ্রাম। ড্রোনে আছে ৪৮ মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা। মাটি থেকে ১০০ মিটার উঁচুতে উঠে ছবি বা ভিডিও করা যাবে এ ড্রোন দিয়ে। এছাড়া যিনি ড্রোনটি নিয়ন্ত্রণ করবেন তার চতুর্পাশে ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে সক্ষম এ ড্রোন। ড্রোনটির জন্য প্রতিদিন সিটি কর্পোরেশনকে ৫ হাজার টাকা ভাড়া গুণতে হবে।

ড্রোন উদ্বোধনের সময় ছাদে মশার লার্ভা ও আবাসস্থল পাওয়ায় চসিকের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন ৭টি ভবনের মালিকপক্ষকে মোট ৮৭ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

অভিযানের বিষয়ে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমরা আজকে ড্রোন দিয়ে বহুতল ভবনগুলোর ছাদ পর্যবেক্ষণ করে প্রায় সবগুলো ভবনের ছাদেই পানি জমে থাকতে দেখেছি। আজ সবাইকে ডেকে সতর্ক করেছি, পরবর্তীতে উনারা জমে থাকা পানি না সরালে জরিমানাসহ কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিব।

চসিকের ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি জানান, নগরীর মোট ৬০টি আবাসিক এলাকায় ক্রমান্বয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। ক্রাশ প্রোগ্রামকে সফল করতে মশক নিধনে লোকবল বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম, জেসমিন পারভীন জেসীসহ নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি কল্যাণ পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

বিএস/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm