মরণোত্তর বীমার টাকা পাচ্ছেন চট্টগ্রামের ১২ পোশাক শ্রমিক

চট্টগ্রামের ১২ জনসহ দেশের মোট ১১৯ জন পোশাক শ্রমিক মরণোত্তর টাকা পাচ্ছেন। পোশাক কারখানায় কাজ করা শ্রমিকদের মৃত্যুর পর ইন্স্যুরেন্সের ২ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে শ্রমিকদের।

সোমবার (২৪ মে) সকাল ১১টায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয়ে ১২ জন শ্রমিকের চেক তুলে দেওয়া হবে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) তালিকাভুক্ত মোট ১ হাজার ৮৫ জন শ্রমিক মরণোত্তর অর্থ পাওয়ার তালিকায় রয়েছে। এদের মধ্যে ১১৯ জনকে দুই লাখ টাকা করে চেক তুলে দেওয়া হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ২০১৯ সাল থেকে ওই টাকা বকেয়া ছিল শ্রমিকদের। বর্তমান বিজিএসইএ পরিচালনা পর্ষদ সরকারের কাছে দেন দরবার করে ২০১৯ সালেরই ১১৯ জনের চেক অনুমোদন করিয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ১২ জন, ঢাকাসহ অন্যান্য উপজেলার আরো ১০৭ জন।

চট্টগ্রামের ২০১৯ সালে ১৯ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২০ সালে মৃত্যু হয় ৮৫ জনের, ২০২১ সালে মে পর্যন্ত ৭ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৯ সালেরই ১২ জনকে দেওয়া হচ্ছে মরণোত্তর চেক।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপমহাপরিদর্শন আবদুল্লাহ আল সাকিব মোবাররাত চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আপাতত ১২ জন পোশাক শ্রমিককে ২ লাখ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব শ্রমিক মরণোত্তর অর্থ পাবে।

চট্টগ্রামে মরণোত্তর চেক পাওয়া ১২ জন শ্রমিক হলেন- রামিশা ফ্যাশন লিমিটেডের তাসলিমা আক্তার, চট্টগ্রাম এশিয়ান অ্যাপারেলের মাহাবুবুল আলম ও সালমা আজমিরি, প্রাইম গার্মেন্টেসের রহিমা, জেএসএল এক্সপোর্ট লিমিটেডের বেবী আক্তার, অর্সিট সোয়েটার লিমিটেডের আরশাদুল আলম, বিএসএ অ্যাপারেল লিমিটেডের বেবী বেগম, ওয়ার্ম ফ্যাশন লিমিটেডের জাহানারা বেগম, ফ্রাংক গার্মেন্টেসের নাসরিন আক্তার, গ্লোবাল শার্ট লিমিটেডের নুরুল আবছার, সিসার অ্যাপারেলস লিমিটেডের কহিনুর আক্তার, আনোয়ার ফ্যাশন লিমিটেডের সুমন বড়ুয়া।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহসভাপতি রকিবুল আলম চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবার চালু করা হয়েছে মরণোত্তর চেক প্রদান। সরকারের সংশ্লিষ্ট শাখায় দেন দরবার করে অনুমোদন করতে হয়েছে। তবে আবার যখন চালু হয়েছে তখন পর্যায়ক্রমে সব মৃত শ্রমিকরা এ টাকা পাবে।

তিনি আরও জানান, কোন শ্রমিক মারা যাওয়ার পর সরকার সংশ্লিষ্ট কারখানার মালিক থেকেই মরনোত্তর অর্থ কেটে রেখে দেয়। পরে সেটি কলখারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ও বিজিএমইএর মাধ্যমে শ্রমিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

এএস/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!