মধ্যরাতে ‘গ্যাং লিডার’ লিমনকে তুলে নিয়ে গেল ডিবি পুলিশ

ডিবি অফিসের সামনে বসে আছে পরিবার

মধ্যরাতে চট্টগ্রামের সিআরবির জোড়া খুন মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি সাইফুল আলম চৌধুরী লিমনকে চট্টগ্রামের মেহেদীবাগ এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চট্টগ্রাম রেলওয়ে, সিআরবিসহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ নগরীর কয়েকটি কলেজকেন্দ্রিক কয়েকটি ‘গ্যাং’ তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

শুক্রবার (৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত একটার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর মেহেদীবাগ এলাকার ইকুইটি টাওয়ারের বাসায় অভিযান চালিয়ে নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল লিমনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।

তবে রাত একটার দিকে লিমনকে মেহেদীবাগ থেকে গ্রেপ্তার করা হলেও রাত আড়াইটার দিকে তাকে নিয়ে চট্টমেট্রো-চ-১১-০৬১৭ নম্বরের সাদা একটি নোহা গাড়ি লালদিঘি পাড়ের ডিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করে বলে জানা গেছে।

এ সময় লিমনের পরিবারের সদস্যরাও ডিবি কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পরিবারের কাউকে ডিবি অফিসে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

২০১৩ সালের ২৪ জুন সাইফুল আলম চৌধুরী লিমনকে ছাত্রলীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। তখন তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।

পরিবারের সদস্যদের দাবি, কোনো মামলার ওয়ারেন্ট ছাড়াই লিমনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। লিমনের বড় ভাই ইমন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা ডিবির সদস্যদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম তাকে কোন্ মামলায় অ্যারেস্ট করা হচ্ছে। তারা আমাদের বলেছে পত্রপত্রিকায় তার বিরুদ্ধে লেখালিখি হচ্ছে। তাই ওপরের নির্দেশে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

২০১৩ সালের ২৪ জুন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তরের (সিআরবি) সামনে যুবলীগ থেকে সে সময় বহিষ্কৃত নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী ওরফে বাবর ও লিমনের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে যুবলীগের কর্মী সাজু পালিত (২৮) ও শিশু আরমান (৮) নিহত হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় লিমনকে দ্বিতীয় প্রধান আসামি করে ৬২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। রেলের কোটি টাকার দরপত্র নিয়ে সংঘর্ষের ওই ঘটনা ঘটে।

লিমন সর্বশেষ ২০১৫ সালের নভেম্বরে আরও একবার পিস্তল, তিনটি ওয়ান শুটারগান ও গুলিসহ নগরের লালখানবাজার থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন র‍্যাব-৭ এর হাতে।

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm