বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কম সময়ে দণ্ড-জরিমানা ও আপিলের ব্যবস্থার কারণে অনেক অপরাধ কমে এসেছে। ছোটখাট মামলার জন্য আদালতে ঘুরতে হয় না। ভ্রাম্যমাণ আদালতে কার্যক্রম বাড়াতে হবে তবে খেয়াল রাখতে হবে এতে কোন নিরাপরাধ মানুষ যেন দুর্ভোগের শিকার না হয়। ব্যক্তিগত হিংসার বশবর্তী হয়ে কাউকে হয়রানি করা যাবে না।’
তিনি আরো বলেন,‘বাড়ির আঙ্গিনা, নির্মানাধীণ ভবনে জমে থাকা পানিতে এডিস মশা জন্মে তাই এডিস মশার উৎস বন্ধে এসব স্থানেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা দরকার।’
সোমবার (১৯ আগস্ট) বেলা ১১টায় সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।
সভায় বিগত মাসের খুন, ডাকাতি, রাহজানি, প্রাণহানি, অপমৃত্যু, নারী ও শিশু নির্যাতন, চুরি, চাঁদাবাজি, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সম্পত্তির ক্ষতি সাধান, ইভিটিজিং, ভ্রাম্যমাণ আদালত, মাদক চোরাচালান রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত, শিল্প কারখানা, গার্মেন্টসহ অন্যান্য ফ্যাক্টরিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিশ্চিতে ভ্রাম্যামাণ আদালত পরিচালনাসহ অপরাধের হ্রাস-বৃদ্ধি ও করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে তৎপর হতে হবে। ইভটিজিং বন্ধে একে অন্যের প্রতি সম্মান বৃদ্ধি করতে হবে। লাইটপোস্ট, গ্রিল, রেলিংয়ের রড চুরি হয় যা পৃথিবীর কোথাও হয়না, এগুলো রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. ইলয়াস হোসেন, সিএমপির উপ কমিশনার (সদর) শ্যামল কুমার নাথ উপ-মহাপরিচালক আনসার, মো. সামছুল আলম, এনএসআই অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী হাওলাদার, কোম্পানি অধিনায়ক র্যাব-৭, মেজর মেহেদি হাসান বিপিএম, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.শামসুদ্দোহা প্রমুখ।
সিএম/এসএস