চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ঠিক আগে জামিনে বেরিয়ে গেলেন নগরীর চকবাজার এলাকার কথিত যুবলীগ নেতা নুর মোস্তফা টিনু।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এই আলোচিত সন্ত্রাসী জামিনে মুক্ত হন।
কারাগার থেকে চকবাজারের বাসায় এসে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেই তিনি প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কবর জিয়ারত করতে বের হন।
কারাগারে থেকেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে চকবাজার ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন নুর মোস্তফা টিনু। তবে পরে সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টুকে সমর্থন দিয়ে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে টিনু গ্রুপ। সবশেষ গত ৮ জানুয়ারি বিকেল ৫টার দিকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর প্রচারণা মিছিলে সশস্ত্র হামলা চালায় কিশোর গ্যাং লিডার নুর মোস্তফা টিনুর অনুসারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মতে, হামলার নেতৃত্বে ছিলেন টিনুর অনুসারী কিশোর গ্যাং নেতা ইভান ও পিস্তল গিয়াস। ওইদিন চকবাজার ১৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের একটি প্রচারণা মিছিল অলিখাঁ মসজিদ মোড় হয়ে গুলজার মোড়ে আসার পরপরই টিনু গ্রুপের লোকজন কিরিচ, রড, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় মো. আরিফ (১৮) নামের এক ছাত্রলীগ নেতা গুরুতর আহত হন।
২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১২টায় নগরীর পাঁচলাইশ এলাকা থেকে টিনুকে একটি পিস্তল ও পাঁচ রাউন্ড গুলিসহ আটক করে র্যাব। পরে টিনুকে সঙ্গে নিয়ে তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে একটি শটগান ও ৬৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে র্যাব। পরদিন অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে টিনুকে নগরীর পাঁচলাইশ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকেই তিনি ছিলেন চট্টগ্রাম কারাগারে।
চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার, পাঁচলাইশ ও বাকলিয়া এলাকার তিনি আলোচিত সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। তার নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী আছে, আছে কিশোর গ্যাংও। এলাকার কোচিং সেন্টার, ক্লিনিক, প্রাইভেট হাসপাতালসহ যাবতীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মূলত তার কাছে জিম্মি বলে অভিযোগ রয়েছে।
নুর মোস্তফা টিনু ছাত্রলীগের চকবাজার ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন। তার ভাই শিপু চকবাজার ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। তাদের আরেক ভাই মোহাম্মদ সেলিম জামায়াত নেতা।
সিপি