চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আবারো ভুল চিকিৎসায় এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১ মার্চ) সকালে নগরের কাতালগঞ্জস্থ সার্জিস্কোপ-২ হাসপাতালের ৫০৩ নম্বর কেবিনে এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ৪৫ বছর বয়সী ওই রোগী হালিশহর নয়াবাজার পদ্মা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মো. ফারুকের স্ত্রী সেলিনা বেগম।
রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেন, প্রায় সুস্থ হয়ে ওঠার পর ওয়ার্ডবয়ের দেয়া ইনজেকশনের বিষক্রিয়ায় মারা যান সেলিনা বেগম। ইনজেকশন পুশ করার কয়েক মিনিটের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বলে জানান সেলিনা বেগমের ছেলে ইমন বিন ফারুক।
তিনি বলেন, ‘৭ দিন আগে পেটের টিউমার নিয়ে চট্টগ্রামের কাতালগঞ্জস্থ সার্জিস্কোপ হাসপাতাল-২ এ আমার মাকে ভর্তি করা হয়। ডা. আতা মোহাম্মদ মোজাচ্ছেমের নেতৃত্বে সফল অপারেশন সম্পন্ন হয়ে আজ (সোমবার) কিংবা আগামীকাল তার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সোমবার সকালে ওয়ার্ড বয়ের এক ভুল ইনজেকশন পুশের কারণে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েন আমার মা।’
ইমন বলেন, ‘ইনজেকশন পুশ করার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আমার মা মারা যান। বিষয়টি জানাজানি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা এসে আমার মাকে আইসিইউ (ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটে) নিয়ে যান। সেখানে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডাক্তাররা জানায় আমার মা আর নেই। আমি এ হত্যার বিচার চাই।’
তবে এ বিষয়ে হাসপাতাল থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত কোন জবাব পাওয়া যায়নি। জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক সার্জন ডা. আতা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমি ঘটনাটি এইমাত্র শুনলাম। আমি বাসায়। তাই কি হয়েছে তা এখনই বলতে পারব না। আমি হাসপাতালে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। গিয়ে বলতে পারব আসলে ঘটনাটি কি হয়েছে।’
পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার দাশ বলেন, ‘ঘটনা শুনে আমি হাসপাতালে এসেছি। কিন্তু এখনো ঘুরছি। কারণ কোন ডাক্তারের সাথে কথা বলতে পারিনি। মৃতের স্বজনদের সাথে কথা বলেছি। কিন্তু তাদের কথা শুনলে ত হবে না। ডাক্তারের কথা শুনতে হবে। আর ভিকটিমদের স্বজন থানায় মামলা না করলে আমরা আইনগত কোন পদক্ষেপও নিতে পারব না। ’
আইএমই/কেএস/এমএহক