সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে গত দুইবারের দেখাতেও ভুটানকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে ২-০ গোলে, ২০১৭ সালে ঘরের মাঠে ৩-০ গোলে জিতে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ দল। এরপর জয় অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ব্যবধানও বাড়ালো বাংলাদেশ।
শুক্রবার বেলা ১১.১৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচে ভুটানকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। আগামী রোববার শিরোপা জয়ের মিশনে ভারত বা মালদ্বীপের বিপক্ষে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত ও মালদ্বীপ।
নেপালের কাঠমান্ডু এপিএফ কমপ্লেক্সে প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচে একপেশে লড়াই-ই দেখেছে উপস্থিত দর্শকরা। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আধিপত্য বিস্তার করেই খেলেছে বাংলাদেশের যুবারা। প্রথম গোলের দেখা পেতে অপেক্ষা করতে হয় ১৬ মিনিট পর্যন্ত। জটলার মধ্য থেকে সরাসরি হেডে গোলটি করেন ডিফেন্ডার তানভীর হোসেন।
মিনিট দশেক পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলে বাংলাদেশ। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে এবারের গোলটি করেন দশ নম্বর জার্সি পরিহিত ফরোয়ার্ড ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। মিনিট তিনেক পর মারাজ হোসেনের দারুণ এক হেড ঠেকিয়ে দেন ভুটানের গোলরক্ষক। সে দফায় গোলবঞ্চিত হয় বাংলাদেশ।
তবে ৩২ মিনিটের মাথায় ঠিকই জালের ঠিকানা খুঁজে নেন মারাজ। ভুটানের মিডফিল্ডারের ভুলে মাঝমাঠে বল পেয়ে যান ৭ নম্বর জার্সি পরিহিত এ খেলোয়াড়। ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের শটে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন মারাজ। তিন গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় যুবারা।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখে বাংলাদেশ। তবে গোলের দেখা মিলছিল না কিছুতেই। শেষতক বদলি খেলোয়াড় দ্বীপক অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে করেন ম্যাচের চতুর্থ গোলটি। দারুণ এক জয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
এর আগে ‘বি’ গ্রুপে রানার্সআপ হয়ে সেমিফাইনালে আসে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৩-০ গোলে হারানোর পর, গোলশূন্য ড্র হয় ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি। ভারত ও বাংলাদেশের পয়েন্ট ও গোল পার্থক্য সমান হওয়ায় আসরের নিয়ম অনুসারে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণ করতে লটারি হয়। সেখানে জিতে গ্রুপ সেরা হয় ভারত।