চট্টগ্রামের আদালত ভবনের সামনে আইনজীবী হত্যার ঘটনায় বঁটি হাতে থাকা সেই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে হত্যা মামলার এজাহারে তার নাম ছিল না, ভিডিও ফুটেজ দেখে তদন্ত করে তাকে শনাক্ত করা হয়।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম রিপন দাস (২৭)। তিনি নগরীর পাথরঘাটার হরিদাস লেনের সাধুর বাড়ির মৃদুল দাসের ছেলে। চকবাজার এলাকায় একটি ওষুধের দোকানে চাকরি করেন।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আনোয়ারা উপজেলা থেকে রিপনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আইনজীবী সাইফুল হত্যায় বঁটি হাতে থাকা রিপন আনোয়ারায় অবস্থান করছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সময় তার পরনে ছিল নীল রঙের গেঞ্জি, জিনস প্যান্ট ও মাথায় লাল হেলমেট।
আইনজীবী হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ দেখে রিপনকে শনাক্ত করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
এর আগে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে ভৈরবের রেলস্টেশন থেকে চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যামামলার প্রধান আসামি চন্দনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
চট্টগ্রাম থেকে যাওয়া ট্রেন থেকে নেমে ভৈরবের মেথরপট্টিতে অবস্থিত শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল তার।
চন্দন চট্টগ্রাম নগরীর বান্ডেল রোডের সেবক কলোনির মেথরপট্টি এলাকার বাসিন্দা। তিনি আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যামামলার ১ নম্বর আসামি।
গত ২৬ নভেম্বর নগরীর রঙ্গম কনভেনশন হলের পাশের গলির ভেতরে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার জন্য সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর সমর্থকদের দায়ী করা হচ্ছে।
এ হত্যাকাণ্ডের তিনদিন পর গত ২৯ নভেম্বর দিবাগত রাতে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় নিহত সাইফুলের পিতা জামাল উদ্দীন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন কোতোয়ালী থানাধীন বান্ডেল রোড সেবক কলোনি এলাকার বাসিন্দা চন্দন, আমান দাস, শুভ কান্তি দাস, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত, রুমিত দাশ, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, ওমকার দাস, বিশাল, রাজকাপুর, লালা, সামির, সোহেল দাস, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, গণেশ, ওম দাস, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, দুর্লভ দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য্য।
২ ডিসেম্বর সাইফুল ইসলাম হত্যামামলায় নয়জনকে গ্রেপ্তার দেখান (শ্যোন অ্যারেস্ট) আদালত। এরা হলেন—রুমিত দাস, সুমিত দাস, গগন দাস, নয়ন দাস, বিশাল দাস, আমান দাস, মুন মেথর, রাজীব ভট্টাচার্য্য ও দুর্লভ দাস। এদের মধ্যে বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শুভ কান্তি দাস ছাড়া বাকিদের সকলেই পরিছন্নতাকর্মী।
ডিজে