ভাসানচর পালানো আরও ২০ রোহিঙ্গা গ্রেফতার মিরসরাইয়ে

নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা ২০ রোহিঙ্গাকে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে গ্রেফতার করেছে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। শনিবার (১৭ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

আটককৃত রোহিঙ্গা নাগরিকরা হলেন, মো. আবদুর রহমান (২৭), সেতেরা বেগম (২০), মো. সাব্বির (২৬), সঞ্চিতা বেগম (২২), রাজিয়া বেগম (২৩), নুরুল করিমা (২০), ছালমা খাতুন (৫০), জামাল হোসেন (২৪), নুর কায়দা (২৫), রুমানা (৬), নুর ফাতেমা (৩), মো. আয়াজ (৮ মাস), জান্নাত আরা (৪), কিছমত আরা বেগম (২), মরিয়ম (৮ মাস), মো. আবুল কাশেম (৭), ওসমান গনি (৮ মাস), মো. আয়াত (৪), জান্নাত আরা (১) ও সেতেরা (৫)।

জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুর হোসেন মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটক ২০ রোহিঙ্গার মধ্যে ৪জন পুরুষ, ৫জন মহিলা ও ১১ জন শিশু রয়েছে। এর মধ্যে মেয়ে শিশু সাতজন ও ছেলে শিশু চারজন।

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার মায়ানমারের নাগরিক (রোহিঙ্গারা) নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে ট্রলার যোগে মিরসরাইয়ের অর্থনৈতিক জোন এলাকায় নামেন। সেখান থেকে তারা টেকনাফের কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে যাওয়ার কথা ছিল। পরে ইকোনোমিক জোন এলাকার দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা তাদের আটক করে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দেই। সেখান থেকে তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। কার মাধ্যমে ভাসানচর থেকে এসেছেন তার জানার চেষ্টা চলছে। এবিষয়ে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

ভাসানচর থেকে রোহিঙ্গাদের পালাতে কারা সাহায্য করেছে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দালালরা বিভিন্ন জায়গার। গ্রেফতারকৃত রোহিঙ্গারা তাদের নাম বলতে পারছের না। তবে আমরা ধারণা করছি নোয়াখালী, কক্সবাজার ও টেকনাফের দালালদের যোগসাজশে তারা ভাসানচর থেকে পালিয়েছেন। এর পেছনে কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে পুলিশ।’

এর আগে ১১ জুলাই জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ অর্থনৈতিক জোন থেকে ১৮ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছিল। আর ২২ জুন ভাসানচর থেকে পালানোর সময় জোরারগঞ্জের অর্থনৈতিক জোন থেকে ১৪ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছিল। এছাড়া ৩০ মে ভাসানচর থেকে পালানোর সময় জোরারগঞ্জের অর্থনৈতিক জোন থেকে শিশুসহ ১০ রোহিঙ্গা ও ৩ দালালকে আটক করেছিল জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!