ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সৌহার্দ্যপূর্ণ, দুই দেশ একে অপরের বন্ধু। এটা শুধু দুই দেশের মধ্যে সংস্কৃতি, ঐতিহ্য বিনিময়ের সফর না, এটি সম্পর্ক আরও জোরদার করার সফর। ‘বাংলাদেশের ইয়ুথ ডেলিগেশনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এটি আমার দ্বিতীয় সাক্ষাৎ। এর আগের বছরের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল। নবমবারের মতো বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন দল ভারতে এসেছে।’
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশনের ১০০ প্রতিনিধি। সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আরও বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে এই ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখতে হবে, যাতে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও জোরদার হয়। এমন সফরের মাধ্যমে তরুণদের অনেক কিছু শেখার আছে।’
সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানের শুরুতে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ইয়ুথ অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি মিতা রাজীবলোচন।
বাংলাদেশ ডেলিগেটসদের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য দেন সন্দ্বীপ কুমার ঘোষ এবং রিফাত আরা রিফা।
পরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশনের ১০০ তরুণ প্রতিনিধির সঙ্গে ছবি তোলেন। এ সময় ডেলিগেটসদের কাছে ভারত ভ্রমণে কেমন অভিজ্ঞতা হচ্ছে জানতে চান।
এর আগে ভারতীয় সময় সকালে সাড়ে ১১টায় মিনিস্ট্রি অফ এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্সে (এমইএ) ইয়ুথ ডেলিগেটসদের সদস্যদের ব্রিফিং দেওয়া হয়। এতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়। উদ্বোধনী ব্রিফিং দেন এমইএ’র ইয়ুথ অ্যাফেয়ার্সের জয়েন্ট সেক্রেটারি নিতেশ কুমার মেহেরা।
এরপর ব্রিফিং দেন এমইএ’র স্পেশাল সেক্রেটারি পি কুমারান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আগের চেয়ে জোরালো হয়েছে। এই ধরনের ডেলিগেশন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সম্পর্ক আরও জোরালো হবে।’
এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় ভারতের স্বর্ণপদকজয়ী শুটার রঞ্জন সোধির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ডেলিগেটসরা। এ সময় ডেলিগেটসদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এই ক্রীড়াবিদ।
‘বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন টু ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ১০০ জন তরুণ প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়। এদের মধ্যে ডাক্তার, উদ্যোক্তা, সাংবাদিক, শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন পেশার তরুণ-তরুণীরা থাকেন।
মূলত ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ইতিহাস সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। ভারত সরকারের অর্থায়নে ১০০ জন ইয়ুথ ডেলিগেট হিসেবে প্রতিবছর দেশটি ভ্রমণের সুযোগ পান।
২০১২ সালে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির ইচ্ছায় শুরু হয় ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন টু ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি। এর পর থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন অঙ্গনের ১০০ জন তরুণ-তরুণীকে নিয়ে সফরের আয়োজন করে দেশটির হাইকমিশন।
সিপি