ভারতকে উড়িয়ে আবারও এশিয়ার সেরা বাংলাদেশের যুবারা

যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনাল। এশিয়ার সেরা হবে কে? বাংলাদেশ না ভারত? দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লড়াই শুরুর আগে থেকেই ছিল টান টান উত্তেজনা। প্রতিপক্ষের নাম যখন হয় ভারত তখন বাড়তি উদ্দীপনা কাজ করে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের। আর সেই ম্যাচটি যদি কোনো ফাইনাল হয়, তবে তো সেই উত্তেজনার পারদ চড়ে যায় অনেক ওপরে।

এবার যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনালে ভারতকে ৫৯ রানের ব্যবধানে উড়িয়ে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ।

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায় ভারত। ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের তোপের মুখে বাংলাদেশের ব্যাটাররা খুব বেশি ভালো কিছু উপহার দিতে পারেননি। ৪৯.১ ওভারে ১৯৮ রান করে অলআউট হয়ে যায়।

জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে কোনঠাসা হয়ে যায় ভারতও। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ৩৫.২ ওভারে ১৩৯ রানে অলআউট হলো ভারতীয় যুব ক্রিকেট দল এবং সে সঙ্গে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশের যুবারা।

এক বছর আহগে, ২০২৩ সালে এই দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামেই স্বাগতিক আরব আমিরাতকে হারিয়ে যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেটে প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো বাংলদেশ।

টসে হেরে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৪৯.১ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে করতে পেরেছিল ১৯৮ রান। এই রানটাই ভারতের জন্য পাহাড়সম হয়ে যায় বাংলাদেশের পেসারদের দাপটে। ভারত ৩৫.২ ওভারে অলআউট হয় ১৩৯ রানে। যুব এশিয়া কাপে নয়বার ফাইনাল খেলে এবারই প্রথম চ্যাম্পিয়নের ট্রফি হাতে নিতে পারল না ভারতীয়রা।

দ্বিতীয় ওভারে আয়ুশ মাত্রেকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দেন পেসার আল ফাহাদ। পঞ্চম ওভারে ক্রিকেটের নতুন বিস্ময়-বালক বৈভব সূর্যবংশীকে ফিরিয়ে ভারতকে বড় ধাক্কাই দেন বাঁহাতি পেসার মারুফ মৃধা। সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৬ বলে ৬৭ রান করা ১৩ বছর বয়সী সূর্যবংশী শিহাব জেমসের ক্যাচ হয়ে ফিরেছে ৭ বলে ৯ রান করে দলকে ২৪ রানে রেখে।

ভারতীয়দের রানের হিসেবে ২০ রান যোগ হতেই আবার উল্লাসে মাতেন বাংলাদেশের যুবারা। এবার পেসার রিজান হাসানের শিকার আন্দ্রে সিদ্ধার্থ (২০)। সেখান থেকেই ভারত দলটির অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান কেপি কার্তিকেয়াকে নিয়ে এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। তবে ২১তম ওভারে তিন বলের মধ্যে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচটিকে বাংলাদেশের হাতের মুঠোয় তুলে দেন আরেক পেসার ইকবাল হোসেন ইমন।

ইকবালের দারুণ দুটি বলে উইকেটকিপার ফরিদ হাসানের ক্যাচ হয়েছেন কার্তিকেয়া (২১) ও নিখিল কুমার (০)। নিজের পরের ওভারে হরবংশ পাঙ্গুলিয়াকেও ফরিদের গ্লাভসে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন ইকবাল। তিন ওভার পর আল ফাহাদ আরেকটি উইকেট নিয়ে ভারতের স্কোরটাকে ৯২/৭ বানিয়ে দেন।

তবে গলার কাটা হয়ে তখনো টিকে ছিলেন ভারতের অধিনায়ক আমান। বাংলাদেশ সেই কাটা উপড়ায় ৩২তম ওভারে। বাংলাদেশ অধিনায়ক আজিজুল হাকিমের অফ স্পিনে বোল্ড প্রতিপক্ষ অধিনায়ককে। ১১৫ রানে অষ্টম উইকেট হারানো ভারত এরপর শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে। ভারতের শেষ দুটি উইকেটও নিয়েছেন আজিজুল।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm