ভাবীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল দেবরের

0

চট্টগ্রাম লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের কুমিরাঘোনা জঙ্গলী পীর পাড়া ভাবীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল দেবরের।

বুধবার (২৩ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিক উদ্দিন।

নিহত মোহাম্মদ ইউনুচ (৪০) বড়হাতিয়া ইউনিয়নের কুমিরাঘোনা জঙ্গলী পীর পাড়ার (৮ নম্বর ওয়ার্ড) মৃত আলী আহমদের দ্বিতীয় পুত্র। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ঘাতক নাছিমা খাতুন (২২) ও স্বামী মোহাম্মদ ইউছুপকে (৪৫) আটক করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে।

s alam president – mobile

নিহতের স্ত্রী রেহেনা আক্তার বুলু জানান, ভাবী নাছিমার ঘরে বিভিন্ন লোকজন আসা-যাওয়া করতো। আমার স্বামী ইউনুচ তাকে বাধা দিলে প্রায় সময় ঝগড়া হতো। গত মঙ্গলবারও (২২ জুন) এসব বিষয়ে নিয়ে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার বিষয়টি ভাবী নাছিমা তার স্বামী ইউছুপকে জানালে আজ (বুধবার) দুপুরে চট্টগ্রাম শহর থেকে সে বাড়িতে আসে। এরপর লোহাগাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিকেলে থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের জন্য বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) থানায় উপস্থিত হওয়ার জন্য বলে। পুলিশ চলে যাওয়ার পর আবারও ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হয় উভয়পক্ষ। এক পর্যায়ে ঘাতক নাছিমা ছুরিকাঘাত করে আমার স্বামীকে খুন করে।

নিহতের ছোট ভাই মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, পারিবারিক ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হয় দুজন। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আমার ভাবী নাছিমা ছুরি নিয়ে বড় ভাই ইউনুচের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তলপেটে ছুরিকাঘাত করে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনায় জড়িত নাছিমা খাতুন ও তার স্বামী ইউছুপকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসি। আটকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Yakub Group

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!