ভাণ্ডারীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে ফটিকছড়ি ঘুরে এলেন নদভী

‘আমাকে কেউ বাধা দিয়ে রাখতে পারবে না’

সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েই চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে পা রাখলেন সাতকানিয়ার সাংসদ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী।

শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ফটিকছড়ির নানুপুর জামেয়া ইসলামিয়া ওবাইদিয়া মাদ্রাসার দুই দিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিলে যোগ দেন। তবে মঞ্চে কোনো বক্তব্য রাখেননি তিনি। এই মাহফিলে যোগ দেন হেফাজত ইসলামের আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীও।

এর আগে নাজিরহাট বড় মাদ্রাসায় মুহতামিম নিয়োগের বিষয় নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে হেফাজতের সাবেক মহাসচিব ও বর্তমান আমির মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীর সরাসরি পক্ষ নেন ভান্ডারী। ওই মাদ্রাসার এক সভায় জুনায়েদ বাবুনগরীকে হেফজতে ইসলামের আমির করার প্রস্তাব দেন ভান্ডারী। একই সঙ্গে তিনি নাজিরহাট বড় মাদ্রাসা ও হেফাজত ইস্যুতে মাথা না ঘামানোর জন্য নদভীকে পরামর্শ দিয়ে হুঁশিয়ারি দেন, ফটিকছড়িতে নদভীকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

ভাণ্ডারীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে ফটিকছড়ি ঘুরে এলেন নদভী 1

এরপর পাল্টা এক ভিডিওবার্তায় বিদ্রুপের সুরে ভাণ্ডারীকেই হেফাজতের আমির হয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন নদভী। এসব ইস্যুতে ভাণ্ডারী ও নদভীর মধ্যে চাপা গ্রুপিং প্রকাশ্যে রূপ নেয়।

ফটিকছড়িতে নদভীকে ঢুকতে দেওয়া হবে না— এমন হুঁশিয়ারির পরও শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ফটিকছড়িতে যান নদভী। তবে মঞ্চে তিনি উঠেননি, বক্তব্যও রাখেননি।

সাতকানিয়ার সাংসদ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমাকে কেউ বাধা দিয়ে রাখতে পারবে না। প্রতিহতও নয়। কারণ আমি ইসলামের খেদমত করার জন্য ফটিকছড়িতে এসেছি। আমার পরিচালিত ফাউন্ডেশন থেকে ফটিকছড়িতে টিউবওয়েল স্থাপন ও মসজিদ-মাদ্রাসায় দান করা হয়। আমি ফটিকছড়ির সব মাদ্রাসায় যাবো। আমাকে কেউ বাধা দেওয়া মানে ইসলামকে বাধা দেওয়া, ধর্মীয় কাজে বাধা দেওয়া।’

এই মাহফিলে যোগ দেন হেফাজত ইসলামের আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীও।
এই মাহফিলে যোগ দেন হেফাজত ইসলামের আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীও।

এদিকে নানুপুর ওবাইদিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মুসল্লির সমাগম ঘটেছে। দুইদিন ব্যাপী মাহফিলে বয়ান করেন হেফাজত ইসলামের সমাজকল্যাণ সম্পাদক মুফতি কুতুব উদ্দিন, খতমে নবুওয়ত মুভমেন্টের আমির মাওলানা মাহমুদুল হক মমতাজি, ঢাকার বারিধারা মাদ্রাসার মোহাদ্দেস আমজাদ হোসেন, ঢাকার আফতাব নগর মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস মাওলানা আবু মুছা, যশোর থেকে আসা মাওলানা আনোয়ারুল করীম, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন আল মোবারক, বাবুনগর মাদ্রাসার প্রধান মুফতি মাহমুদুল হাসান, ঢাকার বনশ্রী রামপুর মাদ্রাসার শাইখুল হাদীস মাওলানা ইয়াহিয়া মাহমুদ, লেখক অধ্যাপক ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন প্রমুখ।

এছাড়া শুক্রবার সন্ধ্যায় অছিহত করে বাইয়াত করান নানুপুরের পীর ও ওবাইদিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ছালাহউদ্দিন।

এএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!