বড়লোক হওয়ার নেশায় মোবাইল চুরি, অবশেষে পুলিশের কব্জায়

খাগড়াছড়ি জেলার বাসিন্দা মোবাইল মেকানিক মো. আলীম (২১)। চট্টগ্রামের বন্দর থানার কলসি দিঘীরপাড় এলাকায় ছিল তার দোকান। চলতি বছরের করোনায় কঠোর লকডাউনে মন্দা যায় তার ব্যবসা। বকেয়া জমে যায় বেশ কয়েক মাসের দোকান ভাড়া। ব্যবসায় মন্দা ও ভাড়ার টাকা পরিশোধ নিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি।

ব্যবসা থাকাকালীন আগে থেকে পরিচয় ছিল আরেক সহযোগী ফিরোজের (৪২) সঙ্গে। প্রথমে তারা দুইজন অল্পদামে মোবাইল কিনে তা বেশিদামে বিক্রি করতেন। মোবাইল মেকানিক থেকে হয়ে যান মোবাইল ব্যবসায়ী। এর মধ্যে তাড়াতাড়ি বড়লোক হওয়ার নেশা পেয়ে বসে তাদের। জড়িয়ে পড়েন মোবাইল চুরিতে। শেষ পর্যন্ত ধরা পড়েন পতেঙ্গা এলাকায় একটি দোকান থেকে ৩৭টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল চুরির মামলায়।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে গ্রেপ্তার করা হয় আলীমকে। মামলার অপর আসামি ফিরোজ পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার মো. আলীম খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থানার চরপাড়া খালের পাড় রশিদ মিয়ার বাড়ির আব্দুর রশিদের পুত্র।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ৩টার দিকে পতেঙ্গা থানার মকবুল হাউজিং সোসাইটির এলাকার বাসিন্দা জনৈক জাকারিয়া দোকানের চালের টিন কেটে ৩৭টি মোবাইল চুরি করে নিয়ে যায় আলীম ও তার সহযোগী ফিরোজ। দোকানে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরা চেক করে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।

চুরির ঘটনায় দোকান মালিক বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন পতেঙ্গা থানায়। এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ৪৫৭ ও ৩৮০ ধারা অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পতেঙ্গা থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, ‘আসামি আলীমকে দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ মামলায় পলাতক আসামি ফিরোজকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

মুআ/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!