সুই থুই চিং রোয়াজা রাঙামাটির বাসিন্দা। সোনালী ব্যাংকের অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। ৫ আগস্ট স্ত্রীকে নিয়ে রাঙামাটি থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন চিকিৎসার জন্য। ওইদিন বিকাল ৫টায় চট্টগ্রামে ভুলে সিএনজি অটোরিকশাতে একটি ব্যাগ ফেলে নেমে যান।
ওই ব্যাগে ছিল ২২ হাজার টাকা, অগ্রণী ব্যাংকের ৩টি চেক, সোনালী ব্যাংকের সই করা ৭টি চেক ও ল্যাপটপসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র। ব্যাগ খুঁজতে গিয়ে ট্রেন মিস করেন রোয়াজা। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে কোতোয়ালী থানায় একটি জিডি করে রাতের বাসে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি।
পরে কোতোয়ালী থানা পুলিশ আমার গাড়ি নিরাপদ অ্যাপের সহযোগিতায় উদ্ধার করে রোয়াজার ব্যাগ। রোববার (৭ আগস্ট) ব্যাগ বুঝে নেন তিনি।
কোতোয়ালী থানা সূত্র জানায়, ওইদিন রাতেই জিডির তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে কোতোয়ালী থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান চৌধুরী ‘আইস অব সিএমপি’র মাধ্যমে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে গাড়ির নম্বর শনাক্ত করেন। পরে ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ অ্যাপের মাধ্যমে চালকের তথ্য সংগ্রহ করে মালামাল উদ্ধার করা হয়।
কিন্তু মালামাল উদ্ধার করা হলেও স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য রোয়াজা ঢাকা থাকায় ওসব মালামাল কোতোয়ালী থানায় ছিল। রোববার বিকালে থানায় গিয়ে নিজের মালামাল ফিরে পান রোয়াজা।
প্রয়োজনীয় জিনিস ফিরে পেয়ে উচ্ছ্বসিত রোয়াজা বলেন, ‘বন্ধুর পরামর্শের জিডি করেছিলাম। কিন্তু জিনিসগুলো যে আসলেই ফেরত পাব, এটা কখনো ভাবিনি।’
এসআই মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনার দিন রাতেই সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে আমরা মালামালগুলো উদ্ধার করি। আজ তিনি থানায় এসে মালামালগুলো নিয়ে গেছেন।’
আরএম/ডিজে