ব্যস্ত সড়কেই সিএসসিআর হাসপাতালের পার্কিং!

চট্টগ্রাম নগরীর সিএসসিআর হাসপাতালে নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার ওপরেই পার্কিং করতে বাধ্য হচ্ছেন রোগী ও তাদের স্বজনদের গাড়ি। এতে সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। ভোগান্তিতে পড়ছে যাত্রী ও সাধারণ যানবাহন।

নগরীর ওআর নিজাম রোডের একটি বহুতল ভবনে সিএসসিআর হাসপাতালটি অবস্থিত। ভবনটি বহুতল হলেও এতে নেই পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা। ফলে রোগী বহন করা ও রোগী দেখতে আসা মানুষজনকে গাড়ি পার্কিং করতে হচ্ছে মূল সড়কের ওপরেই। এর পাশাপাশি আছে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের মোটরবাইকের সারি। সবমিলিয়ে মূল সড়কে গাড়ির চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত, তৈরি হচ্ছে তীব্র যানজটও।

ওআর নিজাম রোডে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার থাকায় দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীদের যাতায়াতে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। গোলপাহাড় মোড় থেকে প্রবর্তক মোড় পর্যন্ত সৃষ্ট এ কৃত্রিম যানজটের কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ ছাড়াও অন্যান্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আসা রোগীরা।

ব্যস্ত সড়কেই সিএসসিআর হাসপাতালের পার্কিং! 1

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওআর নিজাম সড়কে সিএসসিআর হাসপাতালের গেইট থেকে প্রিমিয়ার হাসপাতাল পর্যন্ত সারি সারি মোটরবাইক পার্কিং করা। মোটরবাইক হাসপাতালের পার্কিংয়ে যেতে চাইলে তাতে বাধা দিয়ে রাস্তায় রাখার জন্য পীড়াপিড়ি করছে সিএসসিআরের নিরাপত্তারক্ষীরা।

পথচারী সঞ্জয় দাস বলেন, ‘সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পরে গাড়িতেও শান্তি নেই। রাস্তায় প্রচুর যানজট। অফিস শেষ করে বাসায় ফিরতে হচ্ছে হেঁটে।’

সিএসসিআরের নিরাপত্তারক্ষী আবুল বাসারের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বললেন, ‘মোটরবাইকের জন্য পার্কিং ব্যবস্থা নেই। হাসপাতালের মালিকও আছেন ৪০-৫০ জন। তাদের গাড়ি রাখারই পার্কিং নাই, আপনাদের গাড়ি কেমনে রাখবো? হাসপাতালের পার্কিং ছোট, তাই মোটরবাইক ঢুকতে দেওয়া হয় না। রাস্তার পাশে পার্কিং করতে হয়।’

ওই স্থানে উপস্থিত ট্রাফিক সার্জেন্ট মুজাহিদ বলেন, ২০১২ সাল থেকেই এ সমস্যা হচ্ছে। হাসপাতালের ভেতরে রোগী নামানোর জায়গা নেই বললেই চলে। রাস্তার ওপরেই গাড়ি থেকে রোগী নামানো হয়। যানজটের কারণে তাড়াতাড়ি করতে বললে আমাদের মানবতাহীন বলা হয়। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আমরা প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছি। বারবার নিষেধের পরেও কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এ ব্যাপারে অনেক লেখালেখিও হয়েছে। আমরা মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে হেলমেট নিয়ে আসতাম। প্রসিকিউসনে অভিযোগ করতাম।’

এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে সিএসসিআর হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বারবার ‘বাইরে আছি’ ‘মিটিংয়ে আছি’— এসব অজুহাতে এড়িয়ে যান।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!