চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর চরণদ্বীপ এলাকায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে এক যুবককে রক্তাক্ত করার ঘটনায় চার জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহত যুবকের নাম এমদাদুল ইসলাম সায়মন (১৮)।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে চার জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে আহতের মা ফরিদা বেগম (৪০) বোয়ালখালী থানায় ১২ জনকে আসামি করে এবং অজ্ঞাত ১০-১৫ জন আসামিসহ মামলা দায়ের করেন।
আটক চার জন হলেন—পশ্চিম চরণদ্বীপ এলাকার মো. ইকবাল ছেলে মো. হাসান (২২), মো. আবু মুছার ছেলে মো. তানভিরুল হাসান রাহাত (২০), মৃত ফয়েজ আহাম্মদের ছেলে আব্দুল আজিজ ওরফে লেদু সওদাগর (৫৮), মৃত আনোয়ার ইসলামের ছেলে মো. রোকন উদ্দিন (৩৪), দিদারুল আলমের ছেলে আরিফুল ইসলাম জিসান।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ নভেম্বর চরণদ্বীপ শেখ ওছিউর রহমানের দরবার শরীফে ওরশ উপলক্ষে এমদাদুল ইসলাম সায়মন তার ৩-৪ জন বন্ধু নিয়ে দরবার শরীফের প্রধান গেট দিয়ে প্রবেশ করছিলেন। এ সময় প্রবেশমুখে ভিড় থাকার ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সায়মনের মাথায় আঘাত করে দুর্বৃত্তরা।
পরে স্থানীয় লোকজন এসে উদ্ধার করে বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সায়মনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।
আহতের মা ফরিদা বেগম বলেন, ‘হত্যার উদ্দেশ্য আমার ছেলেকে এলোপাথাড়ি মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। আমার ছেলের শোর-চিৎকার শুনে আশপাশে লোকজন আসলে অপরাধীরা পালিয়ে যায়। আমার ছেলে বর্তমান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমি অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
এ বিষয়ে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার বলেন, ‘এ ঘটনায় এজাহার দায়ের পর পুলিশ চার জনকে আটক করে। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
ডিজে