‘বৈদ্যালি শেখানো’র নামে পিতার হাতে দুই মেয়ে ‘ধর্ষিত’, তৃতীয় বউয়ের মামলা

জন্মদাতা পিতার হাতে দুই কন্যা ধর্ষিত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ‘ঘটনার শিকার’ দুই মেয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। এ ঘটনায় কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ একটি মামলা হয়েছে।

কক্সবাজারের পেকুয়ার পূর্ব টইটংয়ের সোনাইছড়িতে গত ৩১ আগস্ট ও ১ সেপ্টেম্বর নিজের বাড়ির পাশে সেমি পাকা বৈদ্যালির আসনঘরে ‘বৈদ্যালি শেখানো’র নামে ধর্ষণের এমন ঘটনাটি ঘটানো হয় বলে মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে।

অভিযুক্ত শফিকুর রহমান প্রকাশ শফিক বৈদ্য পেকুয়ার পূর্ব টইটং সোনাইছড়ি রমিজ পাড়ার মৃত নুরুল আনোয়ার প্রকাশ টুনু মিয়ার ছেলে।

শফিকুর রহমানের তৃতীয় স্ত্রী বাদি হয়ে মামলাটি (সিপি-১৫৬/২০) করেন। আদালত ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদি এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তার স্বামী বৈদ্যালির নামে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। ইতোপূর্বে তার দুটি স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তাকে বশে এনে বিয়ে করে। নানা অপকর্মের প্রতিবাদ করলে তাকে বেশ কয়েকবার মারধর করে স্বামী শফিক বৈদ্য।

বাদির অভিযোগ, তার স্বামী কুচরিত্রের। বিষয়টি সবার কাছে স্পষ্ট। স্বামী দুশ্চরিত্রের বলেই একে একে নিজের দুই মেয়েকে ধর্ষণ করেছে।

এদিকে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ এবং আদালতে মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে বাদি ও ভিকটিমদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন অভিযুক্ত শফিক বৈদ্য— এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। হুমকির মুখে বাদি ছাড়াও দুই কন্যা এখন ঘরছাড়া।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ বাদি অভিযোগ দায়েরের পর শুনানি শেষে ঘটনার শিকার দুই মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষাসহ সুষ্ঠু তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারক জেবুন্নাহার আয়েশা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বপ্রাপ্ত পিপি এডভোকেট একরামুল হুদা জানান, নিজের ঔরশজাত দুই মেয়ে সন্তানকে বৈদ্যালি শেখানোর কথা বলে ধর্ষণ করেছে পিতা। এ ঘটনায় মামলা করেছেন ছোট স্ত্রী। হুমকির মুখে মামলার পর দুই ভিকটিম ও চার সন্তান নিয়ে এখন এলাকাছাড়া তিনি।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!