রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জন্য বরাবরই খবরের শিরোনাম হয় নগরীর লালখান বাজার ওয়ার্ড। এবার ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নির্দেশে এক যুবলীগ নেতার মাথা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে। একই ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৮ জুন) সন্ধ্যায় ওয়াসার মোড়ে কাউন্সিলর আবুল হাসনাত বেলালের গ্রুপের কর্মীদের হামলায় শামীম আহসান নামে এক স্থানীয় যুবলীগ নেতা আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় শামীমের সাথে থাকা আরেক বন্ধু মো. মারুফ ও হামলার শিকার হয়েছেন। আহত শামীম মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
যুবলীগ নেতা শামীমের বন্ধু মো. সাগর আহমেদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, সুদীপ্ত হত্যা মামলার আসামি মুক্তার, সালাউদ্দিন লাভলু, সোর্স মহিম ও রেজু জাহেদসহ ২০ জনের একটি গ্রুপ কাউন্সিলর বেলালের নির্দেশে এলাকায় শো-ডাউন দিচ্ছিল। এসময় রাস্তায় শামীম ও মারুফকে একা পেয়ে মারতে থাকে। ঘটনার সময় সুদিপ্ত হত্যাকান্ডের আসামি মুক্তার ইট দিয়ে শামীমের মাথায় আঘাত করতে থাকে। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আমার বন্ধুদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমরা এ বিষয়ে থানায় জিডি করেছি।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর আবু হাসনাত বেলাল লালখান বাজারে নিজের কোন গ্রুপ নেই দাবি করে বলেন, যারাই হামলা করেছে তাদের বিচার হোক আমি চাই। কোন গ্রুপের নাম ব্যবহার করে সন্ত্রাসীদের বাঁচানোর কোন সুযোগ নেই। আমি থানায় বলেছি যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
খুলশি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান বলেন, ওখানে কোন গ্রুপ নেই। কয়েকজন ছ্যাঁচড়া ছেলে নিজেরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করেছে। এ নিয়ে কয়েকজন অভিযোগ জমা দিয়েছে। আমরা তদন্ত করে দেখবো কারা দোষী।
অভিযোগে মহানগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সুদীপ্ত চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি মোক্তার হোসেনের জড়িত থাকার বিষয়ে ওসি বলেন, ওরা যার নাম ইচ্ছে তার নাম ঢুকিয়ে দিলে তো হবেনা। আমরা তদন্ত করে দেখবো কারা জড়িত ছিল।
বিএস/এসএ