বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থেকেও আংশিক দেখা যাবে ‘অগ্নিবলয় সূর্যগ্রহণ’

১৭২ বছর আগে ১৯৪৭ সালে বিরল যে ‘অগ্নিবলয় সূর্যগ্রহণ’ দেখা দিয়েছিলো ১৭২ বছর পর আবার তৃতীয় এবং এ দশকের সর্বশেষ এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর)। এটি চট্টগ্রাম থেকেও আংশিক দেখা যাবে। চট্টগ্রামে সূর্যগ্রহণটি সকাল ৮টা ৫৫ মিনিট বেজে ৩৬ সেকেন্ডে শুরু হয়ে বেলা ১১টা বেজে ৫৮ সেকেন্ডে শেষ হবে।

তথ্যসূত্রে জানা যায়, এ সময় সূর্যের আশপাশে একটি অগ্নিবলয় থাকবে। বিজ্ঞানীরা যাকে বলে ‘রিং অব ফায়ার’। দৃশ্যটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব,দক্ষিণ ভারত,ইন্দোনেশিয়াসহ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশ থেকে সবচেয়ে ভালো দেখা যাবে। পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে থাকা চাঁদ যদি সূর্যকে পুরোপুরি ঢাকতে না পেরে শুধুমাত্র তার কেন্দ্রস্থলকে ঢেকে দেয়, তা হলে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ হয়। এ সময় সূর্যকে উজ্জ্বল রঙের একটি অগ্নিবলয়ের মতো মনে হয় ও মাঝখানটা কালো দেখা দেয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, যদি আকাশ পরিষ্কার থাকে তবে চট্টগ্রাম থেকে আংশিক দেখা যাবে এই অগ্নিবলয় সূর্যগ্রহণ। চট্টগ্রামে এই সূর্যগ্রহণ শুরু হবে সকাল ৮টা ৫৫ মিনিট হয়ে ৩৬ সেকেন্ডে এবং তা শেষ হবে বেলা ১১ টা বেজে ৫৮ সেকেন্ডে। তবে নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না চট্টগ্রামের কোন জায়গা থেকে এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।

সতর্কতা
গ্রহণ চলাকালীন সময়ে সূর্যের অতিবেগুনি আলোকরশ্মি চাঁদের ভিতর দিয়ে পৃথিবী পৃষ্ঠের ওপর পড়বে তাই এই সময়ে পর্যাপ্ত সতর্কতা নিতে হবে। সরাসরি সূর্যের দিকে তাকালে চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রয়োজনবোধে গবেষকদের দ্বারা পরীক্ষিত অধিক ডার্কনেস সম্পন্ন সেফটি গ্লাস ব্যবহার করুন।গ্রহণ উপভোগের সুবিধার্থে তরল কিংবা যেকোনো স্বচ্ছ মাধ্যমকে দর্পণ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে অন্ধকার হওয়ার কয়েক মিনিট আগে গাছের তলায় সাদা কাপড় বিছিয়ে ছায়ালহরীও দেখতে পারেন।

এনজে/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm