বুলেটিন ২৬/ আবহাওয়া দপ্তর জানালো ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সর্বশেষ তথ্য

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় থেকে আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে ঘন্টায় প্রায় ১২ কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

আবহাওয়ার সর্বশেষ বুলেটিন ২৬ অনুসারে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৪২৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৩০ কিলোমিটার পশ্চিম- দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়া অফিস জানায়, ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় বুলবুল খুলনা উপকূলের সাতক্ষীরা ছুঁয়েছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ৯ নভেম্বর মধ্যরাত নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল (সুন্দরবন নিকট দিয়ে) অতিক্রম করতে পারে। রাতেই আছড়ে পড়বে সুন্দরবন অংশে। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত রয়েছে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার— যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিঃ মিঃ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

ঝড়ের যে গতিবেগ ও দিক-নির্দেশনা ৮৮ দশমিক ১ অক্ষংশে বুলবুল এগিয়ে যাচ্ছে। এটি উত্তর দিকে এগোচ্ছে। যদি এ গতিতে এগোতে থাকে তবে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোতে আঘাত হানবে। এছাড়া ঝড়ের সঙ্গে ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ ড. শহীদুল্লাহ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘এখন যে গতি তাতে ঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে চলে এসেছে। বাতাসের গতিবেগ আগের চেয়ে বেশি। ঝড়টি এখন যে গতিতে আসছে, তাতে রাতের মধ্যেই সুন্দরবন উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ইতিমধ্যেই ঝড়টি সাতক্ষীরা ছুঁয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামে মহাবিপদ সংকেত ৯। ক্ষয়ক্ষতি এখানে তেমন না হলেও সাবধানে থাকা জরুরি। তাই অতটা আতঙ্কিত না হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়া উচিত।

এদিকে, এদিকে, ঝড়ের প্রভাবে সাগর বিক্ষুব্ধ ও উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে একই সাথে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একইসাথে উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজারকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

এসআর/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!