বাঁশখালী ও আনোয়ারায় ১৬১ আশ্রয়কেন্দ্র ভরে গেছে মানুষে

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবেলায় উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ মাদ্রাসা ও সাইক্লোন শেল্টার ছাড়াও ৫৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আনোয়ারায় শনিবার (৯ নভেম্বর) মৃদু বাতাসের সাথে হালকা বৃষ্টি ও গুমোট মেঘাচ্ছন্ন আকাশে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আশংকায় উপজেলাজুড়ে বিরাজ করছে আতংক। অন্যদিকে বাঁশখালী উপজেলায় ১০২টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। উপকূলের মানুষ এসব আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আনোয়ারার উপকূলীয় এলাকা রায়পুর, গহিরা, সরেঙ্গা, দক্ষিণ গহিরা, চুন্নাপাড়া, জুঁইদন্ডী, খুরইশকুল, পারকি ও বারশত এলাকার মানুষ ভীতি ও আতংকের মধ্যে রয়েছে। অনেকই বাড়িঘর ছেড়ে নিকটাত্মীয়ের বাড়ি ও নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছে।

শনিবার ( ৯ নভেম্বর) সকাল থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমদ উপকূলীয় বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে সিপিপির ১ হাজার ৪শ স্বেচ্ছাসেবক কর্মী মাঠে রয়েছে।

বারশত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক কর্মী এম.এ কাইয়ূম শাহ্ বলেন, ‘আমরা গত শুক্রবার থেকে বিভিন্ন স্থানে সর্তকীকরণ ও নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছি।’

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, ‘উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়নগুলো ঝূঁকিপূর্ণ হওয়ায় ওইসব এলাকায় গত শুক্রবার থেকে মাইকিং করে সর্তকীকরণ ও নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’

এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, গ্রাম পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা কাজ করছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে শুকনো খাবার, জরুরি স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা ও কন্ট্রোল রুম খোলা রাখা হয়েছে।

বাঁশখালীতে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবেলায় প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতি
সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলী বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীকে বিভিন্ন পরামর্শ ও নির্দেশনা দিচ্ছেন। এ উপজেলায় ১০২টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। উপকূলের মানুষ এসব আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।

উপকূলের ১০ ইউনিয়নে দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ১ হাজার ৬৫ জনের স্বেচ্ছাসেবক দল সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং করছে।

শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন। তিনি দুর্যোগ মোকাবেলায় সকল কর্মকর্তাকে মাঠে থাকার জন্য বলেন। কোনো কর্মকর্তার দায়িত্বে অবহেলা সহ্য করা হবে না বলে তিনি জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় বাঁশখালীতে প্রশাসনের সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মীবাহিনী সতর্ক রয়েছে। প্রত্যেক ইউনিয়নে জনপ্রতিনিধিরাও মাঠে রয়েছেন।

সিআর

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!