ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে সবশেষ টেস্ট হ্যাটট্রিক হয়েছিল প্রায় ১৫ বছর আগে, ২০০৪ সালে। আর ভারতের হয়ে সবশেষ হ্যাটট্রিক করার নজির ছিল প্রায় ১৩ বছর আগে, ২০০৬ সালে। এ দুই লম্বা বিরতির অবসান ঘটিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে সবমিলিয়ে ৪৬তম, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে মাত্র চতুর্থ এবং ভারতের জার্সি গায়ে তৃতীয় বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেছেন বুমরাহ।
ক্যারিবীয়দের মুখের হাসি কেড়ে নিয়ে নিজের হাসিকে অনেক বেশি চওড়া করেছেন ভারতের গতিতারকা জাসপ্রিত বুমরাহ। অসাধারণ বোলিংয়ে হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেট নিয়ে ভেঙে দিয়েছেন উইন্ডিজ ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড। যার ফলে ৪১৬ রানের জবাবে ফলোঅনের শঙ্কায় পড়ে গেছে স্বাগতিকরা।
ক্যারিবীয়দের ইনিংসের ৯ম ওভারের দ্বিতীয় বলে ড্যারেন ব্রাভোকে লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ বানিয়ে হ্যাটট্রিকের সূচনা করেন বুমরাহ। এরপর শামার ব্রুকস ও রস্টোন চেজকে ফেরান লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে। চেজের উইকেটটিতে প্রথমে আঙুল তোলেননি আম্পায়ার, রিভিউ নিতেও রাজি ছিলেন না বুমরাহ। অধিনায়ক বিরাট কোহলির ইচ্ছায় রিভিউ নেয় ভারত, আর তাতেই হয়ে যায় বুমরাহর হ্যাটট্রিক। যার ফলে হরভজন সিং (অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০০১ সালে) এবং ইরফান পাঠানের (পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০০৬ সালে) পর তৃতীয় ভারতীয় হিসেবে টেস্টে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পান বুমরাহ। এছাড়া জার্মেইন লওসন ও ম্যাথু হোগার্ডের পর তৃতীয় বোলার হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে এ কীর্তি দেখিয়েছেন তিনি।
শুধু হ্যাটট্রিক করেই থেমে থাকেননি বুমরাহ, পূরণ করেছেন ইনিংসের নিজের ষষ্ঠ পাঁচ উইকেটও। দিন শেষে ৩৩ ওভার ব্যাটিং করে ক্যারিবীয়দের সংগ্রহ ৭ উইকেট ৮৭ রান। এর মধ্যে ৯.১ ওভার বল করে মাত্র ১৬ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন বুমরাহ একাই। অন্য উইকেটের দখলদার মোহাম্মদ শামী। ফলোঅন এড়াতে এখনও ১৩০ রান প্রয়োজন ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
এদিকে দিনের প্রথম বলেই রিশাভ পান্তের উইকেট হারালেও, হানুমা বিহারী ও ইশান্ত শর্মার ১১২ রানের জুটিতে ভর করে ৪১৬ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। অষ্টম উইকেটে বিহারীর সঙ্গে এ জুটি গড়ার পথে ৫৮ রান করেন ইশান্ত। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করে ১১১ রানের ইনিংস খেলেন বিহারী।