বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন ৩ মাস আগে। হয়তো সংসারও শুরু করা হয়নি ভালো মতো। কিন্তু তার আগেই আত্মহত্যা করে জীবনের ইতি টানলেন চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে কলেজ শিক্ষার্থী বিবি মায়মুনা।
শনিবার (৩১ জুলাই) বিকালে উপজেলার সাহেরখালীর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোরের বাজার এলাকার বেলু ড্রাইভারের বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের বিবি মায়মুনার বয়স ১৯। তিনি খৈয়াছরা ইউনিয়নের নয়দুয়ার এলাকার মেহেরুল্লাহ মুন্সী বাড়ির মৃত নিজাম উদ্দিনের মেয়ে এবং নিজামপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিহতের স্বজন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, মায়মুনার সাথে সাহেরখালী ইউনিয়নের বেলু ড্রাইভার বাড়ির মো. ইউনুস মিয়ার ছেলে ইকবাল হোসেন রিপনের সাথে রীতি অনুযায়ী বিয়ে হয়। বিয়ের পর প্রথম কয়েক মাস ভালোভাবে সংসার চলছিল। তার পড়াশোনা নিয়ে গত কিছু দিন ধরে শাশুড়ির সাথে মনমালিন্য চলছে। এজন্য স্বামী রিপনকে নিয়ে মাইমুনা আলাদ হয়ে যায়। শনিবার দুপুরে স্বামী-স্ত্রী দুজনই এক সাথে দুপুরের খাবার খান। বিকেলে স্বামী রিপন আছরের নামাজ পড়ে এসে দেখেন দরজা খোলা এবং ভেতরে গিয়ে দেখেন গলায় ফাঁস দিয়ে ঘরের তীরের সাথে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাটি আমাদের জানালে আমরা দ্রুত ওই বাড়িতে যায়।
মাইমুনার বোন রাজিয়া সুলতানা অভিযোগ করেন, শাশুড়ি প্রায় সময় আমার বোনকে বকাঝকা করতেন। শনিবারও মাইমুনাকে বকাঝকা করেছেন। এজন্য সে আত্মহত্যা করেছে। আমরা এই দোষীদের শাস্তি চাই। এ বিষয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করবে বলে জানান তিনি।
সাহেরখালী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জয়নাল আবেদীন দুলাল বলেন, আছরের নামাজের পর মেয়ের ভাসুর ফোন দিয়ে বলে আমার ছোট ভাইয়ের বউ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। তবে কী কারণে আত্মহত্যা করছে তা এখনো জানা যায়নি।
মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুজিবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিমের লাশ উদ্ধার করা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। রোববার লাশের ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার আগে বলা যাবে না এটি হত্যা না আত্মহত্যা।
এমএহক