বিয়েতে মাংস কম হওয়ায় কনেপক্ষের ওপর হামলা, আহত ৮

0

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বিয়েতে খাবার টেবিলে অতিরিক্ত মাংস না দেওয়াকে কেন্দ্র করে বর ও কনে পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কনের বাবা-মা ও বরসহ অন্তত ৮জন আহত হয়েছে। শনিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় উপজেলার মৌলভীর দোকান এলাকার নিরিবিলি কমিউনিটি সেন্টারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে বেলা ৩টার দিকে পুলিশ গিয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে নিরিবিলি কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলার ছদাহা পূর্ব কাজীর পাড়া (খামারপাড়া) কালা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহানের সাথে নোয়াখালীর সুবর্ণচর চরওয়াবদা ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা (বর্তমানে চট্টগ্রামের চন্দনাইশের হাছনদন্ডী) জসিম উদ্দিন ফারুকের মেয়ে মুক্তা বেগমের বিয়ের খাবার দাবারের আয়োজন চলছিল। এসময় খাবার টেবিলে বর পক্ষের এক ব্যক্তিকে তৃতীয়বার অতিরিক্ত গরুর মাংস এনে না দেওয়ায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি শুরু করে।

s alam president – mobile

ঘটনা থামাতে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। পরে বর নিজে এসে মারামারিতে যোগ দেন। এতে উভয় পক্ষের অনেকেই আহত হন।

মেয়ের চাচা আলাউদ্দিন বলেন, বিয়েতে বর পক্ষের ৩শ’ লোককে খাবারের কথা থাকলেও দুপুর দেড়টা পর্যন্ত (বর) তাদের চারশ’ জনেরও বেশি খাওয়ানো হয়। এসময় খাবার টেবিলে বর পক্ষের এক ব্যক্তিকে তৃতীয়বার অতিরিক্ত গরুর মাংস এনে না দেওয়ায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি শুরু করে। ঘটনা থামাতে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। পরে বর নিজে এসে মারামারিতে যোগ দেন।

আহতদের মধ্যে যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন, কনের বাবা জসিম উদ্দিন ফারুক (৪৮), কনের মা রাশেদা বেগম (৩৫), মামা বাবুল (৩০), বর মোহাম্মদ শাহজাহান (২৮) মানিক (২৮), মো. রফিক (৩০) ও হুমায়ূন (২০)।

Yakub Group

উপজেলার ছদাহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাদ হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘বিয়ের অনুষ্ঠানে মারামারির ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। যেহেতু অনুষ্ঠানের আগে বর-কনের আকদ হয়ে গেছে তাই আমিসহ এখন (রাত সাড়ে ৭টা) বউ নিয়ে আসতে যাচ্ছি।’

সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিয়েতে মাংস কম দেওয়ার ব্যাপারে সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনা জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় অভযোগ দেয়নি।’

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!