বিমানবন্দরে চার্জারলাইটে আবার স্বর্ণ, যাত্রীও সেই ফটিকছড়ির!
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চার্জার লাইটের ভেতরে আবার ধরা পড়ল স্বর্ণের চালান। গত এক মাসে এমন ঘটনা ঘটল দুবার। দুবারই চার্জার লাইটের ভেতরে লুকিয়ে স্বর্ণের বার নিয়ে আসা হচ্ছিল। কাকতালীয়ভাবে পৃথক দুই ঘটনার দুই যাত্রীও ফটিকছড়ির।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১১টায় আবুধাবি থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে আসা যাত্রীর কাছে ৭০ পিস স্বর্ণের বার (৮ কেজি ২০০ গ্রাম) বার পাওয়া যায়। এর বর্তমান বাজার মূল্য ৪ কোটি টাকা।
বিমানন্দর কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার মো. রেয়াদুল আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, ফটিকছড়ির মো.আখতারুজ্জামান খান (৩২) নামের এক যাত্রীর আনা চার্জার লাইটের ব্যাটারি রাখার জায়গায় লুকিয়ে স্বর্ণের বারগুলো পাওয়া যায়।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গ্রিন চ্যানেল পাওয়ার হবার পর সন্দেহজনক এই যাত্রীকে চ্যালেঞ্জ করেন বিমানবন্দরে দায়িত্বরত কাস্টমস কর্মকর্তারা। পরে তল্লাশি চালিয়ে তার ব্যাগেজে থাকা ৪টি চার্জার লাইটের ব্যাটারি রাখার খোপ থেকে স্বর্ণগুলো উদ্ধার করা হয়।
এর আগে ১৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তজার্তিক বিমানবন্দরে ১৫ কেজি ওজনের ১৩০টি স্বর্ণের বারসহ মো. জয়নাল নামে এক যাত্রীকে আটক করে চট্টগ্রাম কাস্টম শুল্ক গোয়েন্দা দল। ওই যাত্রী অভিনব কায়দায় চার্জার লাইটের ব্যাটারির বদলে স্বর্ণ এনেছিলেন। আটক জয়নালও চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার অধিবাসী। তার কাছ থেকে জব্দ করা স্বর্ণের মূল্য প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা।
তবে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে সাম্প্রতিক সময়ে চার্জার লাইটের ভেতরে করে স্বর্ণ আনার ঘটনা ধরা পড়ে ফ্যান রংগুই নামের এক চীনা নাগরিকের হাত ধরে। বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বিজি-১৪৮ দুবাই থেকে যাত্রা শুরু করে গত ৮ মে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। স্ক্যানিংয়ের সময় চার্জার লাইটে ধাতব পদার্থ থাকায় সন্দেহ হয় কাস্টমস কর্মকর্তাদের। এরপর চার্জার লাইটটি ভাঙা হলে এর ভেতর পাওয়া যায় ২৪ পিস স্বর্ণের বার। ফ্যান রংগুই নামের ওই চীনা নাগরিক চার্জার লাইটে লুকিয়ে এসব স্বর্ণের বার এনেছিল। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বাজারমূল্য ছিল ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
এএস/এসএস