চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে বিধবার ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সাতকানিয়া উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নে মুহুরী পাড়ায় মৃত ছাবের আহমদের বসত ভিটায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ছাবেরের বিধাবা স্ত্রী দিলু আরা বাদি হয়ে উত্তর সাতকানিয়া যুবলীগের ক্রীড়া সম্পাদক নেতা জেয়াবুল হক লেডুকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের বিরুদ্ধে সাতকানিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, ধর্মপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুহুরী পাড়ার বিধবা দিলু আরা স্থানীয় চেয়ারম্যান ইলিয়াস চৌধুরীর সমর্থক হওয়াটা কাল হয়েছে। কারণ দীর্ঘ একযুগ ধরে জেয়াবুল হক লেডুর সঙ্গে স্থানীয় চেয়ারম্যানের বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধের জেরে বিধবা দিলু আরার ঘর ভাংচুর করে ঘরের আসবাবপত্র লুট করা হয়েছে।
বিধাবা দিলু আরা বলেন, আমার চোখের সামনেই লেডু আর তার সাঙ্গপাঙ্গরা এসে আমার ঘর ভাংচুর করে জিনিসপত্র লুটপাট করেছে।এমন কী ঘরের চাল পর্যন্ত নিয়ে গেছে তারা।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিধাবা দিলু আরার ঘর ভাংচুর ও লুটপাট কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়েছে স্থানীয় যুবলীগ নেতা জেয়াবুল হক লেডু। তাকে প্রধান আসামি করে অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জেয়াবুল হক লেডু বলেন, আমি শুনেছি ঘর ভেঙ্গেছে। তবে কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে আমি জানিনা। মনে হচ্ছে স্থানীয় চেয়ারম্যান ইলিয়াস সাহেবের অনুসারীরা ভেঙ্গে আমার নামে রটাচ্ছে।
ধর্মপুরের চেয়ারম্যান ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, আমার ইউনিয়নে সকল অপকর্ম লেডুই করে থাকেন। এটাও সে করেছে পুরো ইউনিয়নবাসী সাক্ষি। মিথ্যা বলে কেউ পার পাবে না।
অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে সাতকানিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের বিষয়ে একটা অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএ