বিদ্রোহীরা নয়, চট্টগ্রামে কাদেরের বৈঠক শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে

0

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি৷ এরপর বিদ্রোহী প্রার্থীরা আশা করেছিলেন আগামী রোববার (৮ মার্চ) দলের সেক্রেটারি ওবায়দুল কাদেরের কাছে মন খুলে বলবেন সব কথা। আশা ছিল পরিবর্তন হবে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের দল সমর্থিত প্রার্থী।

দলীয় নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, তবে ওবায়দুল কাদের রোববার চট্টগ্রামে আসলেও বসছেন না বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের সঙ্গে। তিনি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বৈঠক করবেন নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে। ক্লোজডোর ওই বৈঠকেই দলীয় কৌশল ও নির্দেশনা চট্টগ্রামের নেতাদের জানিয়ে দেবেন আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় শীর্ষ এ নেতা। সেখানেই কাদের নতুন করে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিষয়ে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার মনোভাবের কথা জানিয়ে দেবেন। তবে দল তাদের প্রতি কি নমনীয় হবে নাকি আগের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকবে তা কাদেরের সিদ্ধান্তের পর স্পষ্ট হবে।

যদিও গত ৫ মার্চ নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে বৈঠকে বিদ্রোহীরা নিজেদের পক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরে কাউন্সিলর নির্বাচন উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবিতে অনড় ছিলেন। এমনকি নেতাদের সামনেই ব্যাপক হট্টগোল ও বিক্ষোভ করেছিলেন বিদ্রোহীরা। ওই সময় মোশাররফ হোসেন ৮ মার্চ ওবায়দুল কাদেরের সামনে সব অভিযোগ তুলে ধরার কথা জানিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করেছিলেন। তবে বৈঠকে তিনি স্পষ্ট করেই জানিয়ে দেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মনোনয়ন বোর্ড যাদের দলীয় সমর্থন দিয়েছেন তাদের মেনে নিতেই হবে। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করার কোনও সুযোগ নেই। অন্যথায় দলীয়ভাবে কঠোর সিদ্ধান্ত যাবে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে৷

s alam president – mobile

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘পূর্ব ঘোষিত রোববারের বর্ধিত সভা হবে না, ক্লোজডোর মিটিং হবে। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সিনিয়র নেতারা থাকবেন। মূলত মেয়র নির্বাচনে দলের কৌশল ঠিক করতেই এ সভা। তাই কাউন্সিলরদের নিয়ে যে বৈঠক হবার কথা ছিল সেক্রেটারির সেটি হচ্ছে না।’

এদিকে, চট্টগ্রাম নগরীর ৪১ সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৪টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে এবার প্রথমবারের মতো কাউন্সিলর পদে ৫৫জনকে সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জিতে আসা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত ১৯ কাউন্সিলর এবার দলীয় সমর্থন পাননি। তাদের মধ্যে ১৮ জনই এবার বিদ্রোহী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া পাঁচটি ওয়ার্ড ছাড়া প্রত্যেক ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত অথবা পদ-পদবিতে থাকা ৩-৪জন করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রোববার (৮ মার্চ) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন।

এডি/এসএস

Yakub Group

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!