বিকেল থেকেই আইসিইউ পাবে চট্টগ্রামের করোনা রোগীরা

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে অসুস্থ রোগীদের বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল থেকেই আইসিইউ সাপোর্ট দেওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ভেন্টিলেটর বসানোসহ যাবতীয় সকল কাজ শেষে এর মধ্যেই পুরোপুরি প্রস্তুত করা হয়েছে ১০ শয্যার এই আইসিইউ ইউনিটটি।

ভেন্টিলেটরসহ আইসিইউ শয্যা চালুর জন্য প্রস্তুত থাকা এই ওয়ার্ডে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রোগীদের সেবা দেওয়া যাবে বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক অসীম কুমার নাথও। তবে এর আগে সকালে একবার ট্রায়াল করে দেখবেন ওয়ার্ড পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মেডিকেল টিমসহ বিশেষজ্ঞরা।

আইসিইউ ওয়ার্ড ও আইসোলেশন ওয়ার্ড চালানোর জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় থেকে ২৫ জন ডাক্তারকে জেনারেল হাসপাতালে সাময়িক সংযুক্ত করার কথা জানানো হলেও বুধবার পর্যন্ত ১০ জন ডাক্তারকে সংযুক্ত করার আদেশ পাওয়ার কথা জানান অসীম কুমার নাথ।

এই ১০ জন ডাক্তার বৃহস্পতিবার সকালে জেনারেল হাসপাতালে যোগ দিচ্ছেন। যাদের মধ্যে অ্যানেসথেসিয়া স্পেশালিষ্ট আছেন ২ জন। এছাড়া জেনারেল হাসপাতালে আগে থেকে ৩ জন অ্যানেসথেসিয়া স্পেশালিস্ট আছেন। তাদেরসহ ৫ জনকে দিয়ে তিনটা টিম করে আপাতত আইসিইউ সেবা চালিয়ে নেওয়ার বিষয়ে পরিকল্পনা সাজিয়েছে জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে অসীম কুমার নাথ বলেন, ‘আমাদের আইসিইউ বেডে ভেন্টিলেটর লাগানো হয়েছে। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। বৃহস্পতিবার সকালে ট্রায়াল হবে। আশা করছি প্রয়োজন হলে বিকেল থেকে রোগী এডমিট করা যাবে ওখানে।’

তবে জেনারেল হাসপাতালের গুদামে থাকা আটটি আইসিইউ বেড স্থাপনের ব্যাপারে আর কোন অগ্রগতি হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা লিখিত আদেশের জন্য অপেক্ষা করছি। সেটি হাতে পেলেই ওই বেডগুলো স্থাপন করার কাজে হাত দেবো। আপাতত এই ১০টি বেড দিয়ে কাজ চালিয়ে নেওয়া যাবে।’

প্রসঙ্গত চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের জন্য জেনারেল হাসপাতালকে বিশেষায়িত ঘোষণা করা হলেও এই হাসপাতালে কোন আইসিইউ বেড ছিল না। প্রয়োজনে করোনা আক্রান্তদের জন্য বেসরকারি ১২ হাসপাতালের ১৫০ আইসিইউ বেড ব্যবহারের ঘোষণা দেয়া হলেও কার্যত তা দেয়নি বেসরকারি হাসপাতালগুলো। এই পরিস্থিতিতে গত ৭ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জেনারেল হাসপাতালে ১০টি আইসিইউ বেডের সরঞ্জাম পাঠানো হলে সেগুলো স্থাপন করে আইসিইউ ঘাটতি মেটানোর উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য বিভাগ।

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm