পটিয়া থানায় দায়ের করা বিএনপির অফিস ভাঙচুর ও বিস্ফোরক মামলায় কাশিয়াইশ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক বিতর্কিত চেয়ারম্যান আবুল কাশেমকে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে চট্টগ্রামের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ আসামি আবুল কাশেমকে হাজির করে পটিয়া থানা পুলিশ। এসময় পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালতের বিচারক শাহরিয়ার ইকবাল এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফোরকানুল ইসলাম।
অ্যাডভোকেট ফোরকানুল ইসলাম বলেন, এ মামলার আসামি আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও ঘটনার সময় সরাসরি গুলি করার অভিযোগ রয়েছে এজাহারে। এখনও পর্যন্ত সেই অবৈধ অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়নি। এসব বিষয়ে আমরা আদালতে অবহিত করেছি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
জানা গেছে, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী আহমদ বাদি হয়ে গত ২০ আগস্ট ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে বিস্ফোরক আইনে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সাবেক এমপি সামশুল হক চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও ২০০/৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
গত ১৯ আগস্ট রাতে পটিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মো. নুরুল হাসান বাদি হয়ে সাবেক এমপি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে ৭৯ জনের নাম উল্লেখ করে বিস্ফোরক মামলাটি করেন। এ মামলায় কাশিয়াইশ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেমকে আটক দেখিয়ে পটিয়া থানা পুলিশ গত ২০ আগস্ট আদালতে পাঠানো হলে পটিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বেগম তাররাহুম আহমেদ তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এছাড়া ১৯ আগস্ট রাতে কাশিয়াইশ ইউনিয়নের বুধপুরা এলাকার নুর আয়শা বাদি হয়ে পটিয়া থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন কাশেম চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। মামলায় কাশেম চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করা হয়। এ মামলায় ২০ আগস্ট আদালত তাকে জামিন দিলেও পটিয়া মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর করা মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এর আগে গত ১৮ আগস্ট উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়ন পরিষদের বির্তকিত চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সকালে পরিষদে যাওয়ার পর হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এসময় খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর টিম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তাকে উদ্ধার করে পটিয়া থানায় নিয়ে আসে। তার বিরুদ্ধে সেদিন ৮টি অভিযোগ জমা দেওয়া হয়।
ডিজে