বায়েজিদে হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি, আরেক আসামির যাবজ্জীবন

চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় রেবেকা সুলতান মনি হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও আরেকজনের যাবজ্জীবন এবং অন্য একজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. নেজাম উদ্দিন। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি মো.আবদুল হালিম (৪৫)। অন্যদিকে, খালাসপ্রাপ্ত আসামির নাম আবু সিদ্দিক রুবেল।
 
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনীরার আদালত এই রায় দেন।
 
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১১ মে বায়েজিদ বোস্তামী থানার মুরাদনগর মির্দ্দাপাড়া জামাল সাহেবের বিল্ডিংয়ের ৪র্থ তলার একটি ফ্ল্যাটে মো.আব্দুল হালিমের নির্দেশে মো. নেজাম উদ্দিন রেবেকা সুলতান মনিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে বাসার একটি কক্ষে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়।

ফ্ল্যাট বন্ধ অবস্থায় দুর্গন্ধ বের হওয়ায় প্রতিবেশিরা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ১৩ মে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়ে দেন।
 
এ ঘটনায় তৎকালীন বায়েজিদ বোস্তামী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগ পত্র দেন। ২০২২ সালের ১ আগস্ট তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।

এরপর ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে বায়েজিদ বোস্তামী থানার রেবেকা সুলতান মনি হত্যা মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মো. নেজাম উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

এছাড়া আসামি মো. আবদুল হালিমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর আসামি আবু সিদ্দিক রুবেলকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

রায়ের সময় মো. নেজাম উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানা মূলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মো.আবদুল হালিম পলাতক। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

আইএমই/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm