২০১৬ সালে ছেলেকে গালি দেওয়ায় অপরাধে ১২ বছরের শিশু আজিমকে গলাকেঁটে হত্যা করেন রনি আক্তার। ঘটনার পর নিজ সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। পরে আজিম হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় তার। কিন্তু সেই দণ্ড থেকে বাঁচতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। আট বছর পর চট্টগ্রামের রাউজান থেকে রনি আক্তারকে ধরে আনল র্যাব।
শনিবার (২০ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে রাউজান উপজেলার গহিরা এলাকা থেকে এই রনি আক্তারকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তার রনি আক্তার ফটিকছড়ি থানার হাইদকিয়া এলাকার রিপন মিয়ার স্ত্রী। যদিও ঘটনার সময় ২০১৬ সালে পরিবার নিয়ে তিনি চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদের একটি কলোনিতে ভাড়া থাকতেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে প্রতিবেশী ছিলেন রনি আক্তার ও শিশু আজিমের পরিবার। আজিমের পরিবারের একটি মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগ ওঠে রনি আক্তারের বিরুদ্ধে। যদিও পরে সেই সন্দেহ অভিযোগ হলে স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।
এই ঘটনার কয়েকদিন পর আজিম চোরের ছেলে বলে রনি আক্তারের ছেলেকে গালমন্দ করেন। যা পরে রনির কানে পৌঁছায়। ছেলেকে কটূক্তির প্রতিশোধ নিতে আজিমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন রনি।
একদিন আজিমকে একা পেয়ে প্রথমে মাথায় আঘাত করেন রনি। পরে হাত-পা গামছা দিয়ে বেঁধে গলাকেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। ঘটনার পর আত্মগোপনে চলে যান তিনি।
এই বিষয়ে র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার জানান, শিশু হত্যা মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রনি দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন। তাকে ধরতে দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালনো হয়। গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি যে, আসামি রনি রাউজান উপজেলায় অবস্থান করছেন। সেই সংবাদের ভিত্তিতে রাতেই অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার এড়াতে রনি আক্তার দীর্ঘ আট বছর দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে তাকে ফটিকছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান নূরুল আবছার।
বিএস/ডিজে