মাত্র ২১ দিন আগে করোনায় আক্রান্ত বাবাকে হারিয়েছেন তিনি। বাবার চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে গিয়ে নিজেও আক্রান্ত হন করোনায়। প্রথম ক’দিন বাসায় থেকে নিয়েছিলেন চিকিৎসা। কিন্তু শারীরিক অবস্থা যেতে থাকে খারাপের দিকে। একপর্যায়ে ভর্তি করা হয় তাকে নগরীর একটি হাসপাতালে। শেষপর্যন্ত পিতার শোকে কাতর থাকা সন্তানকেও পরপারে পাঠালো করোনা।
বলছিলাম করোনায় প্রাণ হারানো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজী বিভাগের ৩৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তরুণ ব্যাংকার রিদুয়ানুল হকের (৩৭) কথা। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি নগরীর সিএসসিআর হাসপাতালে মারা যান।
রিদুয়ানুল হক সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখায় প্রিন্সিপাল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তার প্রতিবেশী ও কক্সবাজার সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নুরুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘২৩ জুন রিদুয়ানুল হকের বাবা মারা যান করোনায়। এরপর থেকে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে সিএসসিআর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে তিনি মারা যান। তার পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য করোনায় আক্রান্ত আছেন।’
তিনি চবির ইংরেজী বিভাগের ৩৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে চবির ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকেফ কর্মকর্তা, কর্মচারীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
এছাড়া মৃত্যুকালে তিনি মা, স্ত্রী, দুই বছর বয়সী এক পুত্র সন্তান এবং একভাই ও একবোন রেখে যান।
রিদুয়ানুল হকের ছোট ভাই মোরশেদুল হক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থ, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
এফএম/এমএফও