বাজেট/ চট্টগ্রামের চার অভিজাত এলাকায় ফ্লাট ও জমি কেনায় কর বাড়ছে

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ফ্ল্যাট ও জমি কেনার ক্ষেত্রে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আগে ফ্ল্যাট কেনায় কালোটাকা সাদা করার সুযোগ ছিল। এখন নতুন করে জমি যুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ ফ্ল্যাট ও জমি কিনলে আয়তনের ওপর এলাকাভেদে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিলে আর কোনো প্রশ্ন করবে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ ছাড়া অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগ করা যাবে অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কেও।

‘সমৃদ্ধ আগামীর’ প্রত্যাশা সামনে রেখে আওয়ামী লীগের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বছরে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) উপস্থাপন করা হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত এই ব্যয় বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের ১৮ শতাংশ বেশি।

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ, খুলশী, আগ্রাবাদ ও নাছিরাবাদ এলাকায় ফ্ল্যাট ও ভবন কেনায় ২০০ বর্গমিটারের কম আয়তনের ক্ষেত্রে কর দিতে হবে বর্গমিটারপ্রতি ৩ হাজার টাকা। ২০০ বর্গমিটারের বেশি হলে ৫ হাজার টাকা। এসব এলাকায় জমি কিনলে প্রতি বর্গমিটারে দিতে হবে ১০ হাজার টাকা।

বাজেটে বলা হয়, অন্য সিটি করপোরেশন এলাকায় ১২০ বর্গমিটারের কম আয়তনের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটারে দিতে হবে ৮০০ টাকা। ১২০ থেকে ২০০ বর্গমিটারের মধ্যে হলে প্রতি বর্গমিটারে দিতে হবে ১ হাজার টাকা ও ২০০ বর্গমিটারে বেশি হলে কর দিতে হবে প্রতি বর্গমিটারে দেড় হাজার টাকা। এসব এলাকায় জমি কিনলে প্রতি বর্গমিটারে ৫ হাজার টাকা দিতে হবে।

পৌরসভা এলাকায় ফ্ল্যাট ও জমি কিনতে ১২০ বর্গমিটারের কম আয়তনের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটারে দিতে হবে ৩০০ টাকা। ১২০ থেকে ২০০ বর্গমিটারের মধ্যে হলে প্রতি বর্গমিটারে কর দিতে হবে ৫০০ টাকা। ২০০ বর্গমিটারের জন্য দিতে হবে ৭০০ টাকা। এসব এলাকায় জমি কিনলে প্রতি বর্গমিটারের জন্য ১ হাজার টাকা কর আরোপ করা হবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!