বাগদাদ গ্রুপের আলমগীরসহ ৪ জনকে ধরতে পরোয়ানা আদালতের

ব্যাংকের টাকা মেরে দীর্ঘদিন ধরে ঘোরাচ্ছেন

ব্যাংক থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করায় চট্টগ্রামভিত্তিক বাগদাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এমডিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির এই আদেশ দিয়েছেন। ঋণখেলাপি হিসেবে রায় ঘোষণার ৮ বছর পর এই চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হল।

আদালতের আদেশে স্থানীয় থানার পুলিশকে তাদের গ্রেপ্তার করার পর আদালতে হাজির করতে বলা হয়েছে।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা যাদের নামে, তারা হলেন— বাগদাদ গ্রুপের এমডি ফেরদৌস খান আলমগীর, চেয়ারম্যান মনোয়ারা বেগম, পরিচালক মো. তানভীর খান ও মো. আজাদ খান।

জানা গেছে, ৯ কোটি ৮৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য অর্থঋণ আদালতে মামলা করে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের আগ্রাবাদ শাখা কর্তৃপক্ষ। ওই মামলার রায় ঘোষণা করা হয় ২০১৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি।

এরপর পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ইস্টার্ন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ২০১৩ সালের ২৯ এপ্রিল জারি মামলা করে। কিন্তু তাতেও টাকা পরিশোধ না করায় গত মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বাগদাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এমডিসহ ৪ জনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হল।

চট্টগ্রামের রাউজানের বাসিন্দা বাগদাদ গ্রুপের কর্ণধার ফেরদৌস খান আলমগীর ও তার পরিবারের কাছে বিভিন্ন ব্যাংক অন্তত ৩০০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।

৩০০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান বাগদাদ গ্রুপের কর্ণধার ফেরদৌস খান আলমগীরের প্রায় পুরো পরিবারই কানাডাপ্রবাসী দীর্ঘদিন ধরে। তার ভাই আরেক ঋণখেলাপি তানভীর খান আলমগীরও পাকাপাকিভাবে কানাডায় বসবাস করছেন।

এর আগে ২০১৯ সালের ১৯ আগস্ট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বাগদাদ গ্রুপের কর্ণধার ফেরদৌস খান আলমগীরের স্ত্রী মেহেরুন নেছাকে। গ্রেপ্তারের পর ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে চট্টগ্রামের খুলশী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। মেহেরুন নেছার বিরুদ্ধেও চেক প্রতারণা ও খেলাপি ঋণের ১৫ মামলা ছিল আগেই। নয় মামলায় সাজাও হয় তার। বেখেয়ালে কানাডা থেকে দেশে ফিরতেই বিমানবন্দরে হাতকড়া পড়ে। বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ফিনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের চেক প্রতারণার নয় মামলায় ইতিমধ্যে মেহেরুন নেছার সাজা হয়েছে। এছাড়া একই প্রতিষ্ঠানের আরও ছয় মামলায় তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা রয়েছে। মামলাগুলোর মধ্যে চেক প্রতারণার মামলা ১৩টি এবং অর্থঋণ মামলা দুটি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে কানাডায় বসবাস করার কারণে তার নাগাল মিলছিল না।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!