বাকলিয়ায় পানির ভেতর চলছে নালার মেরামতি, সিটি কর্পোরেশনের তদারকি নেই

পানির ভেতর থেকে তোলা হচ্ছে ইটের দেয়াল। পানির কারণে বালি-সিমেন্টের মিশ্রণ শক্ত হচ্ছে না, অনায়াসে খসে পড়ছে ইট। তবুও তড়িঘড়ি করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। দিনদুপুরে এমন ‘দুই নম্বরি’ নালার সংস্কারকাজ চলছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এ আলী-পি (জেভি) নিজেদের ইচ্ছেমতো এমন অনিয়ম করে যাচ্ছে। এসব কাজ তদারকির দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগের। তবুও তারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের বড়মিয়া মসজিদ এলাকায় নালা সম্প্রসারণ ও রাস্তা উঁচু করার কাজ চলছে। বড় মিয়া মসজিদ হয়ে খালপাড় ও রসুলবাগ আবাসিকে যাওয়ার রাস্তার পূর্ব পাশে নালা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। নালাভর্তি পানিতেই তোলা হচ্ছে দেয়ালগুলো। নালায় পানি থাকায় দেয়াল শক্ত হচ্ছে না। ফলে অনায়াসে ভেঙে যাচ্ছে দেয়াল, উঠে যাচ্ছে ইটও।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইটের গাঁথুনির দেয়াল তৈরির পর অন্তত ২০ ঘণ্টা পানি দেওয়া যায় না। ওই সময় বালি, সিমেন্ট ও ইটের সমন্বয়ে গাঁথুনি মজবুত হয়। ২০ ঘণ্টার আগে পানি দিলে দেয়াল মজবুত হয় না, যেকোনো সময় ফাটল ধরে দেয়ালে।

জানা গেছে, ৯ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডে। প্রকল্পের আওতায় ওয়ার্ডের মৌসুমি আবাসিক, চাঁনমিয়া মুন্সি লেন এবং বড়মিয়া মসজিদ এলাকার রাস্তা উঁচু করা ও নালা সম্প্রসারণের কাজ চলছে। ৯ কোটি টাকার এই প্রকল্পে চলছে নয়-ছয়। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছেমতো কাজ করে যাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।

স্থানীয়রা বলছেন, এই রোডের কাজ চলছে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে। পানির ওপরেই গাঁথুনির কাজ চলছে। অনেক জায়গায় ইট উঠে গেছে। তবুও তারা কাজ করে যাচ্ছে। এভাবে কাজ করলে অল্পদিনেই নালার দেয়াল ভেঙে যাবে। তখন আবারও জনগণকে ভোগান্তি পোহাতে হবে।

জানতে চাইলে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী (ডিভিশন-৩) মো. ফরহাদুল আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘এভাবে কাজ করার কথা না। আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখবো বিষয়টি।’

Yakub Group

প্রকল্পের তদারকিতে গাফেলতি আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। সুপারভাইজারসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কারো গাফেলতি থাকলে থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্থানীয় কাউন্সিলর মো. শহিদুল আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘এভাবে কাজ করার চেয়ে না করাই ভালো হবে। আমি ঠিকাদারকে অফিসে ডাকবো, কেন তারা এভাবে কাজ করছে সেটা খতিয়ে দেখবো।’

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!