বাকলিয়ায় ডিসলাইনের ব্যবসা কব্জায় নিলেন যুবদল নেতা, প্রাণনাশের হুমকি, থানায় নালিশ
চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় গত ১৪ বছর ধরে সিএমসিএলের ব্যবসা করছেন তারিকুর রহমান খাঁন। কিন্তু দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সৈয়দ শাহ এলাকায় ডিস ব্যবসা দখলে নিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা। ডিস লাইন (সিসিএল) ব্যবসার প্রসার করতেই তিনি দলবল নিয়ে তারিকুরের লাইন দখল করে নেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে তারিকুরকে দলবল নিয়ে মেরে ফেলার হুমকিও দেন যুবদল নেতা বাদশা। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।
বুধবার (৯ অক্টোবর) ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী তারিকুর রহমান খাঁন বাদি বাকলিয়া থানায় জিডি করেন। তিনি সৈয়দ সৈয়দ শাহ রোড এলাকার নুরুল আবছার খাঁনের ছেলে।
অভিযুক্তরা হলেন—চট্টগ্রামের চকবাজার থানার ডিসি রোডের চানমিয়ার মুন্সি লাইনের সিরাজুল হকের ছেলে এমদাদুল হক বাদশা (৫০), বাকলিয়ার থানার দেওয়ান বাজার নেওয়াজ মঞ্জিলের আলী নেওয়াজ খানের ছেলে হাসান নেওয়াজ খান (৫৬) ও চকবাজার থানার ২৮৫/এ চন্দনপুরা টিএ আলী লাইনের মো. মাজমের ছেলে ইকবাল হোসেন ময়না (৫৫)।
জিডির সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী তারিকুর রহমান খাঁন একজন ডিস ব্যবসায়ী। ডিস ব্যবসাকে কেন্দ্র করে তার সঙ্গে ডিসি রোডের চানমিয়া মুন্সী লেন এলাকার সিরাজুল হকের ছেলে এমদাদুল হক বাদশা (৫০), দেওয়ান বাজার এলাকার আলী নেওয়াজ খাঁনের ছেলে হাসান নেওয়াজ খাঁন, চন্দনপুরা টিএ আলী লেইন এলাকার মো. আজমের ছেলে ইকবাল হোসেন ময়নার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ৬ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে চকবাজারের সৈয়দ শাহ্ রোড নামক স্থানে এমদাদুল হক বাদশা, হাসান নেওয়াজ খাঁন ও ইকবাল হোসেন ময়নার সাথে তারিকুলের কথা-কাটাকাটি হয়। এসময় তারা তারিকুল ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী তারিকুল ইসলাম খাঁন বলেন, ‘আমি গত ১৪ বছর ধরে ডিসের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আমার ডিস ব্যবসার সমস্ত কাগজপত্র ঠিকঠাক রয়েছে। আমার ইনকাম ট্যাক্সের ফাইল প্রতিবছর আপডেট রয়েছে। ওনারা চাচ্ছেন পুরো এলাকাটি সিসিএলের করে ফেলবে। আমি করছি সিএমসিএল লাইনের ডিস ব্যবসা। গত ৬ অক্টোবর তাদের দলবলসহ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার ডিস লাইন কেটে ওদের লাইন ঢুকাচ্ছে। তাদের হুমকিতে গত সাতদিন ধরে এলাকায় ডিস অফিস যেতে পারছি না।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এমদাদুল হক বাদশা বলেন, ‘আমার সঙ্গে তার (তারিকুর) কোনো ঝামেলা নেই। তিনি যে ডিস ব্যবসা করছেন তার কোনো ধরনের কাগজ আছে কিনা, দেখতে পারেন। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে, ওই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ত নেই। মূলত আমার বিরুদ্ধে একটি প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে।’
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘তারিকুল নামের এক ডিস ব্যবসায়ী সাধারণ ডায়েরি করেছেন। বিষয়টি অনুমতির জন্য আদালতে পাঠিয়েছি। আদালতের অনুমতি পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এমএ