বাংলাদেশ যুবাদের জয়রথ অবশেষে থামাল নিউজিল্যান্ড

শেষ ওভারে এসে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ

নিউজিল্যান্ডে আসার পর থেকে হার কি জিনিস ভুলতে বসার উপক্রম হয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। সফরের একমাত্র অনুশীলন ম্যাচে জয় দিয়ে শুরু। এরপর একের পর এক ম্যাচ জয়ের খবর আসতে থাকে তাসমানিয়া সাগরের উপার থেকে। একটানা তিন ম্যাচ জিতে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। কিন্তু সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে এসে হোঁচট খেল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ যুবাদের বড় সংগ্রহ নিউজিল্যান্ড টপকে যায় শেষ ওভারে এসে।

বুধবার (৯ অক্টোবর) সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে টসে জিতে ব্ল্যাকক্যাপস অধিনায়ক জেসে টাস্কফ ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ব্যাট করতে নেমে দুই টাইগার ওপেনিং ব্যাটসম্যান তানজিদ হাসান জয় এবং চট্টগ্রামের ছেলে পারভেজ হোসেন ইমন দারুণ সূচনা করেন। তানজিদ ৪৪ বলে ৫১ রান করে কিউই অধিনায়ক টাস্কফের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে গেলে ৭১ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।

উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর দ্রুতই টপ অর্ডারের আরও দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মাহমুদুল হাসান জয় (১৩) দলীয় ৯৭ রানে আর চট্টগ্রামের আরেক তরুণ তুর্কী শাহাদাত হোসেন (১২) আউট হয় দলীয় ১২২ রানে। তবে অপরপ্রান্তে দারুণ খেলতে থাকেন ওপেনার পারভেজ হাসান ইমন। তবে দলীয় রান ১৫২’তে ব্যক্তিগত ৫৫ রানে টাস্কফের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয় ইমন।

এরপর দলের হাল ধরেন তৌহিদ হৃদয় এবং অধিনায়ক আকবর আলী। মিডল অর্ডারের এই দুই ব্যাটসম্যান ১০৪ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যায়। দলীয় ২৫৬ রানে অধিনায়ক আকবর আলী আউট হন ব্যক্তিগত ৪৪ বলে ৬৬ রান করে। এরপরের বলেই ফিরে যান শামিম হোসেন। ইনিংসের ৭ বল বাকি থাকতে দলীয় সর্বোচ্চ ৭৩ রান করে ফিরে যান তৌহিদ হৃদয়। শেষ দিকে অভিষেক দাসের ৬ বলে ১৩ রানের ইনিংসে ভর করে ২৯৫ রানের বড় স্কোর দাড় করায় বাংলাদেশ।

এর আগের সব গুলো ম্যাচ হেরে সিরিজ হার নিশ্চিত হয়েছিল কিউইদের। তবে ধবল ধোলাই এড়াতে এই ম্যাচের জয়ের বিকল্প ছিল না ব্ল্যাক ক্যাপসদের সামনে। ২৯৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় কিউইরা। দলীয় মাত্র ৯ রানেই ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১২২ রান তোলেন ওলি হোয়াইট এবং ফার্গাস লেলম্যান। হোয়াইট ৪৫ রান করে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। তবে অর্ধশতক তুলে নেন লেলম্যান। তিনি করেন ৭৬ রান।

দুই ওভারের ব্যবধানে আসাদুলাহ গালিবের জোড়া আঘাতে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। তবে কিউই অধিনায়ক জেসে টাস্কফের ব্যাটিং দৃড়তায় জয়ের পথেই থাকে তারা। ৬৬ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন টাস্কফ। পাঁচ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড যুবারা।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট সংগ্রহ করেন আসাদুল্লাহ গালিব। আর একটি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম এবং অভিষেক দাস। সিরিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১৩ অক্টোবর।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!